নব্বইয়ের দশকে যাদের জন্ম, তাদের কাছে ট্রিপল এইচ নামটি বেশ পরিচিত। রেসলিংয়ের জগতে অনন্য সব কীর্তি গড়ে জয় করেছেন অসংখ্য ভক্তের মন। বিয়ে করেছেন ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের পরিচালকের মেয়ে স্টেফানি মিকম্যানকে।
সবাইকে অবাক করে মাত্র ৫২ বছর বয়সে রেসলিং থেকে অবসর নিলেন এই কিংবদন্তী। ইএসপিএনের স্টিফেন অ্যান্থনি স্মিথের উপস্থাপনায় টকশো ‘ফার্স্ট টেইক’-এ অতিথি হয়ে এসে শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ট্রিপল এইচ।
তবে ‘ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট’-এর (ডব্লিউডব্লিউই) প্রধান পরিচালন ও বৈশ্বিক প্রতিভা অন্বেষণবিষয়ক সহসভাপতির দায়িত্বে থাকছেন কি না তা জানা যায়নি।
ট্রিপল এইচের আসল নাম পল মাইকেল লেভেস্ক। গত সেপ্টেম্বরে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, ভুগছিলেন ভাইরাল নিমোনিয়ায়।
অনুষ্ঠানে ট্রিপল এইচ বলেন, ‘আর কখনই রেসলিং করব না। আমার বুকে একটা ডিফিব্রিলেটর বসানো আছে। যে কারণে সরাসরি টেলিভিশনে এসে রেসলিং না করাকে বুদ্ধিমানের কাজ মনে করছি।’
কথা বলার একপর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নব্বইংয়ের দশকের শেষ দিকে জেনারেশন এক্সের হয়ে পেশাদার রেসলিংয়ের জগতে পা রাখা লেভেস্ক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তিন মেয়ে। ওদের বয়স ১৫, ১৩ ও ১১। সারা জীবন ওরা আমাকে শক্তিশালী বাবা হিসেবে দেখে এসেছে। তাদের শক্তিশালী বাবাই হুট করে অসুস্থ হয়ে গেল, হাসপাতালে চলে গেল... বিষয়টা ওদের কেমন লাগতে পারে!’
দুই দশকের বেশি সময়ে ১৪ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতেছেন, পাঁচবার ওয়ার্ল্ড হেভিওয়াট চ্যাম্পিয়ন এবং দুবার শীতকালীন রয়্যাল রাম্বলের খেতাব পেয়েছেন।
স্ত্রী স্টেফানি মিকম্যানের সঙ্গে ট্রিপল এইচ। ছবি: সংগৃহীত
ফার্স্ট টেককে ট্রিপল এইচ বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে ভাইরাল নিউমোনিয়ায় ভুগছিলাম। আমার স্ত্রী সে সময় লক্ষ্য করে কাশির সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে। সে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা শেষে ফুসফুস ও হার্টের জটিলতার কথা জানান।
সর্বশেষ ট্রিপল এইচকে রিংয়ে দেখা গেছে ২০১৯ সালের ২৯ জুন, সৌদি আরবে। প্রতিপক্ষ ছিলেন রেনডি অরটোন। ওই বছরেই রেসেলম্যানিয়ায় নিজের শেষ লড়াই লড়েন আরেক তারকা রেসলার ডেভ বাতিস্তার বিরুদ্ধে।