ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। এমন বাস্তবতায় চলতি বছরে তেল ও গ্যাস রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে এ দুই জ্বালানির অন্যতম উৎপাদনকারী কানাডা।
দেশটি দিনে জ্বালানি তেলের উৎপাদন তিন লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ভাবছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে কানাডার পরিকল্পনার কথা জানান প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী জোনাথন উইলকিনসন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া রাশিয়ার সামরিক অভিযানে মিত্রদের যে জ্বালানি নিরাপত্তা তৈরি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে তেলের উৎপাদন প্রায় ৫ শতাংশ বাড়ানো হবে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) বৈঠকে অংশ নিতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গেছেন কানাডার প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘আমাদের ইউরোপীয় বন্ধু ও সহযোগীদের জন্য কানাডা ও অন্যদের এগিয়ে আসা উচিত।
ইউরোপের দেশগুলোর আহ্বানের বিষয়ে কানাডার মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা আমাদের বলছে, রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি থেকে বেরিয়ে আসতে স্বল্পমেয়াদে আমাদের সাহায্য দরকার তাদের। একই সঙ্গে মহাদেশজুড়ে (ইউরোপ) জ্বালানির জোগানদাতা বদলের জন্যও আমাদের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। উভয় ক্ষেত্রে সাহায্য করার মতো অনন্য স্থানে রয়েছে কানাডা।’
ইউরোপে জ্বালানির বড় অংশ সরবরাহ করে রাশিয়া, তবে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউরোপের নেতারা বলছেন, জ্বালানির জন্য মস্কোর ওপর নির্ভরতা কমানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ কিছু দেশ রাশিয়ার জ্বালানি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম ব্যাপক বেড়েছে।