ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন রাশিয়ার এক সাংবাদিক। ওই সাংবাদিকের নাম ওকসানা বাউলিনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সামরিক বাহিনীর গোলার আঘাতে প্রাণ হারান তিনি।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর গত ২৯ দিনের যুদ্ধে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে যে পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন ওকসানা বাউলিনা তাদেরই একজন।
কিয়েভ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লেভিভ থেকে অনুসন্ধানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনসাইডারের জন্য প্রতিবেদন করছিলেন তিনি। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিয়েভ শহরের পোডিল জেলায় রুশ বাহিনীর হামলায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্রধারণের সময় তিনি নিহত হন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাউলিনা এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কঠোর সমালোচক ও বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশনের হয়ে কাজ করতেন।
গত বছর নাভালনির এই ফাউন্ডেশনকে অবৈধ ও চরমপন্থি সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করে ক্রেমলিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাউলিনাসহ সংস্থাটির অনেক কর্মী দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
দ্য ইনসাইডার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রুশ ওই হামলায় আরও একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
নিহত হওয়ার আগে কিয়েভ ও পশ্চিম ইউক্রেনীয় শহর লেভিভ থেকে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন বাউলিনা পাঠিয়েছিলেন, জানিয়েছে ইনসাইডার।
এদিকে ওকসানা বাউলিনার মৃত্যুতে তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে অনুসন্ধানভিত্তিক ওয়েবসাইটটি। সংবাদমাধ্যমটির অনুসন্ধানী সাংবাদিক আলেক্সি কোভালিভও বাউলিনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
চলতি মার্চ মাসের শুরুতে ইউক্রেনীয় টিভি চ্যানেল লাইভ-এর ক্যামেরা অপারেটর ইয়েভহেনি সাকুন কিয়েভের টিভি ট্রান্সমিশন টাওয়ারে হামলায় নিহত হন। তিনি স্প্যানিশ বার্তাসংস্থা ইএফই-তেও কাজ করেছেন।
এর দুই সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ব্রেন্ট রেনডকে রাজধানী কিয়েভের বাইরে ইরপিন শহরে চিত্র ধারণ করার সময় গুলি করে হত্যা করা হয়।
এর দুই দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের দুই সাংবাদিক পিয়েরে জাকরজেউস্কি এবং ওলেক্সান্দ্রা কুভশিনোভা নিহত হন। কিয়েভের উপকণ্ঠে সাংবাদিকদের বহনকারী গাড়িতে গোলা আঘাত হানলে ৫৫ বছর এবং ২৪ বছর বয়সী এই দুই সাংবাদিক প্রাণ হারান।