বিধ্বস্ত হওয়া চীনা বিমানের ১৩২ আরোহীর কারোরই আর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এখন তাই দেশটির গুয়াংজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুধু মরদেহের জন্য অপেক্ষা।
স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে চীনের রাষ্ট্রীয় ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় গুয়ানসি অঞ্চলের উঝোউয়ের পাহাড়ি এলাকায়। খবর পেয়ে বিমামনবন্দরে যান আরোহীদের স্বজনরা।
বিবিসি বলছে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে সেখানে কাউকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দীর্ঘ সময় ধরে স্বজনদের মরদেহ নিতে অপেক্ষায় করছে অনেক মানুষ।
স্বজনদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। কাঁদছেন কেউ কেউ। কেউ তাকিয়ে আছেন বিমর্ষ হয়ে। গুয়াংজু বিমানবন্দরের চিত্র এখন এমন।
১২৩ যাত্রী ও ৯ জন ক্রু নিয়ে ইউনান প্রদেশের কুনমিং শহর থেকে যাত্রা করা বোয়িং-৭৩৭ বিমানটি গুয়ানসি অঞ্চলের উঝোউয়ের পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয় সোমবার। দুর্ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় আগুন ধরে যায়। শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় চীনজুড়ে চলছে শোক। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিধ্বস্তের এলাকাটিতে এখন শুধু ধ্বংসাবশেষ। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে নানা জিনিসপত্র। আগুনে পুড়ে গেছে এসব।
দুর্ঘটনায় হতাহতদের নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আরোহীদের মধ্যে তরুণ বয়সের ছয়জনের একটি দলও ছিল। তারা একটি শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।