বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়ার হামলায় কপাল পুড়ছে কানাডার কৃষকদের

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ১০:৫২

কানাডার কৃষক মার্টি ডার্ক্স। এরই মধ্যে তিনি বসন্ত নিয়ে ভাবা শুরু করেছেন। হাজার হাজার একর জমিতে তিনি শস্য উৎপাদন করেন। তাকে সেখানে বীজ বপন করতে হয়, সার দিতে হয়। বছরে তার ডিজেলের প্রয়োজন হয় ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার। সেখানে ডিজেলের দাম বাড়ছেই।

ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার সামরিক অভিযান। পশ্চিমাদের বার্তা উপেক্ষা করে সামরিক অভিযান শুরু করার জন্য রাশিয়ার ওপরও দেয়া হয়েছে একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা। এবার যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার ফল ভুগতে শুরু করেছে বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভোগ্যপণ্যের দাম ছাড়িয়েছে ৪০ বছরে সর্বোচ্চ। জার্মানিতে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না সূর্যমুখী তেল, সংকট গমেও।

এবার সিটিভি অটোয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি ও সারের দাম বৃদ্ধিতে এবার কানাডার কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ ভালো শস্য উৎপাদনের জন্য সার ও জ্বালানির বিকল্প নেই।

কানাডার একজন কৃষক মার্টি ডার্ক্স। এরই মধ্যে তিনি বসন্ত নিয়ে ভাবা শুরু করেছেন। হাজার হাজার একর জমিতে তিনি শস্য উৎপাদন করেন। তাকে সেখানে বীজ বপন করতে হয়, সার দিতে হয়। বছরে তার ডিজেলের প্রয়োজন হয় ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার। সেখানে ডিজেলের দাম বাড়ছেই। তার আশঙ্কা, ডিজেলের দাম ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এমনকি সারের দামও এ বছর কানাডায় নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফলে বাজারেও কৃষিজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। চাপ পড়বে সাধারণ কানাডীয় ভোক্তাদের ওপর। বাড়বে জীবনযাত্রার ব্যয়। সে ক্ষেত্রে এর প্রভাব হবে সূদুরপ্রসারী।

তেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কায় চিন্তিত কানাডীয় কৃষক মার্টি ডার্ক্স। ছবি: সংগৃহীত

মার্টি ডার্ক্স বলেন, ‘২০২৩ সালের শেষ দিকে আমার পরিস্থিতি বোঝা যাবে। আমি আমার ফসলগুলো রোপণের আগেই বেঁচে দেই। এরপর আমি জানতে পারি, আমার উৎপাদন খরচ কত, আমার লাভ কত। কিন্তু এরই মধ্যে আমি আমার উৎপাদন খরচের হিসাব বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ এটি লক্ষ্যমাত্রার কেবল ৭০ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে।’

এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর কারণে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী শীর্ষ তিন দেশের একটি রাশিয়া। কিন্তু কৃষকদের জন্য জ্বালানিই একমাত্র প্রধান সমস্যা নয়। চাষাবাদ চালিয়ে যেতে তাদের সার দরকার হয়। রাশিয়া অন্যতম সার উৎপাদনকারী দেশও। ইউক্রেন যুদ্ধে সারের বাজারেও প্রভাব ফেলেছে।

এমন পরিস্থিতিতেও কানাডিয়ানস ফর অ্যাফোর্ডেবল এনার্জির প্রেসিডেন্ট ড্যান ম্যাকটিগ খুব একটা চিন্তিত নন। তার মতে, রাশিয়াকে দেয়া অবরোধে কানাডাকে আর্থিকভাবে খুব একটা ভুগতে হবে না। কারণ দেশটির নিজেরই তেল উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষমতা আছে, এখন শুধু আরও ব্যারেল উৎপাদন করতে হবে।

ম্যাকটিগ বলেন, ‘একটি বিষয় পরিষ্কার, এটি (তেল উৎপাদন বৃদ্ধি) খারাপ হবে এবং ব্যয়বহুল হবে। রাশিয়ার সামরিক অভিযান দেখিয়ে দিয়েছে, তাদের গ্যাস আমাদের জন্য কতটা দরকারি। আমার ধারণা, এই বিষয়টি পরিষ্কার যে, আমাদের পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর