গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই রুশ সেনারা ইউক্রেনের ওপর হামলা শুরু করে। তবে ইউক্রেন শুরু থেকেই ন্যাটোভুক্ত ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে সহায়তা পেয়ে এলেও ইসরায়েলের অবস্থান ছিল শুধু মৌখিক সমর্থন ও কিছু মানবিক সহায়তাতেই সীমাবদ্ধ।
এবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সহকারী প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক দাবি করেছেন, রুশ সেনারা তিন ইসরায়েলিকে ইউক্রেনের মেরিতোপোল শহর থেকে অপহরণ করেছে। এ শহরটি আক্রমণের শুরুর দিকেই রুশ সেনারা সেখানে প্রবেশ করে এবং বর্তমানে শহরটি রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে।
ইসরায়েলি নাগরিক অপহরণের ঘটনায় ইউক্রেনের সহকারী প্রধানমন্ত্রী ইরিনা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইসরায়েল সরকারের শক্ত অবস্থান দেখতে চান।
তিনি এ সময় আরও বলেন, ‘ইউক্রেনীয় ইহুদি ও অন্যান্য ইউক্রেনীয়রা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইসরায়েলের অবস্থানে হতাশ। আমি নিশ্চিত যে ইসরায়েলি জনগণ ইউক্রেনের পক্ষে রয়েছে।’
এর আগে মেরিতোপল শহরের মেয়র ইভান ফেদোরভ যিনি একজন রুশবিরোধী হিসেবে পরিচিত, তাকেও অপহরণ করা হয় বলে দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর আগে থেকেই গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে, বেছে বেছে রুশবিরোধীদের হত্যা ও অপহরণ করতে পারে ক্রেমলিন।
এদিকে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। তিনি এ সময় বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ইউক্রেনের মিল হলো উভয় দেশের প্রতিবেশীরা তাদের হত্যা করতে চায়। এদিকে ইসরায়েলের কাছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়ে আসছে ইউক্রেন। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইসরায়েল এ ধরনের কৌশলগত অস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করতে চাচ্ছে না। বক্তব্যে এই বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেছেন জেলেনস্কি।
প্রায় ৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দেশটিকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।