ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযানের মধ্যেই এবার বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নৌবাহিনীর একজন কমান্ডার বলেছেন, বেইজিং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিকীকরণ করছে- এমন পরিস্থিতিতে চীনের বিরুদ্ধে ‘লড়াই ও জয়ের জন্য প্রস্তুত’ যুক্তরাষ্ট্র।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমান্ডার এডমিরাল জন সি. অ্যাকুইলিনো বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গত দুই দশক ধরে চীন এ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় সামরিক বাহিনী গঠন ও অস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছে, যা এ অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্য নষ্ট করছে।
অ্যাকুইলিনো দাবি করেন, এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্য ‘যুদ্ধ এড়ানো’, তবে পেন্টাগন চীনের বিরুদ্ধে লড়াই ও জেতার জন্য প্রস্তুত।
তিনি অভিযোগ করেন, চীন দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোকে ব্যাপক মাত্রায় সামরিকীকরণ করছে এবং বিমানবিধ্বংসী ও নৌবিধ্বংসী অস্ত্র দিয়ে দ্বীপগুলোকে দুর্গে পরিণত করেছে। সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতের সময় চীন দ্বীপগুলোকে যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমান ওড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে পারে।
বাঁয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নৌকমান্ডার জন-সি অ্যাকুইলিনো। ছবি: সংগৃহীত
সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে চীনের বিরোধ রয়েছে। এমনকি মিত্র দেশ ফিলিপাইনের সঙ্গেও বিরোধ রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে বরাবরই একচ্ছত্র আধিপত্য দাবি করে চীন। তবে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীরও অবস্থান রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিয়েছে চীনের। বেশ কয়েকবারই চীনের বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। চীন দাবি করে থাকে, তাইওয়ান দেশটির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণার পরিণতির বিষয়ে বরাবরই সতর্ক করে দিয়ে আসছে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাইওয়ানে যেকোনো চীনা আগ্রাসনের সামরিক জবাব দেবে ওয়াশিংটন।