তুরস্কের হাতে থাকা রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য পদক্ষেপ নিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে তুরস্ককে চাপ দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।
এ সংক্রান্ত তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করা গেলে ইউক্রেনের পক্ষে ভ্লাদিমির পুতিনের সেনাদের মোকাবিলা করা অনেকটাই সহজ হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে।
২০১৯ সালে আঙ্কারার হাতে আসে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। তখন বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের ওপর ক্ষুব্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্র। অনুরোধ না শোনায় তুরস্কের ওপর দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। সরিয়ে দেয়া হয়এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরির কর্মসূচি থেকেও। কিন্তু এবার পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গত ফেব্রুয়ারি থেকেই তুরস্কের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তবে আনুষ্ঠানিক বা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি তারা। পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান চলতি মাসের শুরুতে যখন তুরস্ক সফরে যান সে সময় এই প্রসঙ্গটি আবার সামনে আসে।
রয়টার্স বলছে, ‘এস ৩০০’ এবং ‘এস ৪০০’ সহ রুশ সরঞ্জাম এবং ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করা মিত্র দেশগুলোকে ইউক্রেনে তাদের সরঞ্জাম পাঠানো যায় কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র।
সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রাখার পর গত ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন। প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইউক্রেনও।
যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে। রুশবিরোধী ঐক্যের ডাক দেন জো বাইডেন। কোনো কোনো দেশ ইউক্রেনে অস্ত্র,অর্থ ও নানা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।
এরই মধ্যে কয়েক দফা আলোচানায় বসেছে দুই দেশ। তবে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কার্যত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।