ইউক্রেনের লাভিভ শহরে পশ্চিমাদের কূটনৈতিক ও মিশন কার্যালয়গুলোতে হামলার পরিকল্পনা নিয়েছিল দেশটির উগ্রপন্থি বাহিনী।
ন্যাটো জোটকে ইউক্রেন সংকটে সরাসরি সম্পৃক্ত করতে এমন পরিকল্পনা ছিল আজভ ব্যাটালিয়নের।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাসেনকোভ রোববার মস্কোতে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার (এসবিইউ) আত্মসমর্পণ করা এক কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদে এমনটি জানিয়েছে রুশ বাহিনীকে।
তিনি আরও বলেন, ‘দানেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে রুশ বিশেষ সেনা অভিযান চলাকালে গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউয়ের ওই কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে এমন হামলার তথ্য ফাঁস করেন।’
জিজ্ঞাসাবাদে ইউক্রেনীয় ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউক্রেনের আকাশসীমায় নো-ফ্লাই-জোন চালু ও অস্ত্র সহায়তা বাড়াতে ন্যাটো জোটের মাধ্যমে পশ্চিমাদেশগুলোকে বাধ্য করতে এই হামলার পরিকল্পনা নিয়েছিল কিয়েভ।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন রুশ সেনারা। সে অভিযানের ২৫তম দিনে এসেও যুদ্ধ বন্ধের স্পষ্ট আলামত দেখা যায়নি।
সহিংসতা থামাতে দুই পক্ষ কয়েকবার আলোচনা করেছে। আগামী দিনগুলোতে ইউক্রেন ও রাশিয়া সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে বলে কিছু খবর পাওয়া গেছে, তবে এখন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।