বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ অঞ্চল থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া চার নৌকাসহ ১৮ জেলেকে ফেরত দেয়নি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। শাহপরীর দ্বীপ উপকূল থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তাদের ধরে নিয়ে যায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, ‘সাগর থেকে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তারা কোনো জবাব দেয়নি।’
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার মো. জসীম, সাইফুল ইসলাম, মো. ফায়সেল, আবু তাহের, মো. ইসমাইল, মো. ইসহাক, আব্দুর রহমান, নুর কালাম, মো. হোসেন, হাসমত, মো. আকবর, নজীম উল্লাহ, মো. রফিক, মো. সাব্বির, মো. হেলাল, রেজাউল করিম, রমজান এবং মো. জামাল।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবাই আমার এলাকার বাসিন্দা। মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে ডুবে যাওয়া কাঠবোঝাই ট্রলারে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছিল তারা। ফেরার পথে চারটি নৌকাসহ ১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার বিজিপি।’
স্থানীয়রা বলছেন, ‘মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মতো টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. জসিম, নুর কালাম, মো. ইসলাম ও নুর কালামের মালিকাধীন চারটি নৌকায় ১৮ জন সাগরে মাছ শিকারে যায়।
‘ফেরার পথে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় কাঠবোঝাই একটি ট্রলার ডুবে যেতে দেখে তারা। পরে সবাই উদ্ধারকাজে অংশ নেন। সেখান থেকে ফেরার সময় মিয়ানমার বিজিপি স্পিডবোটে এসে অস্ত্রের মুখে তাদের নিয়ে যায়।’
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলে হেলালের ভাই মো. আয়াছ বলেন, ‘মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে চারটি নৌকাসহ ১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার বিজিপি। তাদের মধ্যে আমার ভাই হেলালও আছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘নৌকাসহ ১৮ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অবহিত করেনি। খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’