ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার উপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা এনেছে পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়ার প্রত্যাশা এখন চীনকে ঘিরে। পশ্চিমা দেশগুলো সরে গেলেও চীন পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানভ বলেন, ‘পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক সীমিত করার জন্য চীনের উপর চাপ দিচ্ছে।
‘কিন্তু আমি মনে করি চীনের সঙ্গে আমাদের যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চীন তা বজায় রাখবে। শুধু তা বজায় রাখবে না বরং পশ্চিমা বাজার রাশিয়ার জন্য বন্ধ হলেও চীন তা বাড়াবে।’
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল রসিয়া-১ এর সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার প্রায় অর্ধেক স্বর্ণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আন্তন সিলুয়ানভ বলেন, ‘আমাদের মোট বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৬৪০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন রিজার্ভ এখন এমন অবস্থায় রয়েছে যে আমরা সেগুলো আর ব্যবহার করতে পারছি না।’
চীনে থাকা রাশিয়ার জাতীয় রিজার্ভে ক্রেমলিন যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্যও চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি রাশিয়ার ঋণের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে আগের বিবৃতি উল্লেখ করে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব ব্লক করা হলেও রাশিয়া তার ঋণ রুবেলে দেবে।’
এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে।