যুদ্ধক্ষেত্র ইউক্রেনে গুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রোববার দেশটির রাজধানী কিয়েভের পার্শ্ববর্তী একটি শহরে এ ঘটনা ঘটে বলে চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে ইরপিন শহরে এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন হামলার সময় একই গাড়িতে থাকা এক ইউক্রেনীয়।
ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক ড্যানিলো শাপোভালভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মারা গেছেন। আরেকজনের চিকিৎসা চলছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এই হামলার জন্য রুশ সেনাদের দায়ী করেছেন। তবে সেখানে আসলে কী ঘটেছিল তা জানা যায়নি। তবে ওই এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। নিহত সাংবাদিকের মরদেহ দেখেছেন এএফপির সাংবাদিক।
স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক ড্যানিলো শাপোভালভ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের দুই সাংবাদিক ও ইউক্রেনের এক নাগরিককে বহন করা গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।
নিহত সাংবাদিকের কাছে পাওয়া কাগজপত্র অনুযায়ী, ৫০ বছর বয়সী নিউ ইয়র্কের ওই সাংবাদিক ইউক্রেনে ভিডিও ডকুমেন্টারির কাজ করছিলেন। তার নাম ব্রেন্ট রিনাউড। নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে ব্রেন্টের কাছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমটি নিশ্চিত করেছে, নিহত সাংবাদিক তাদের হয়ে সেখানে যাননি।
তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রেন্ট একজন মেধাবী ফটোগ্রাফার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন। তিনি কয়েক বছর ধরে নিউ ইয়র্ক টাইমসের কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করেছেন।
এতে বলা হয়, ২০১৫ সালের দিকে ব্রেন্ট নিউ ইয়র্ক টাইমসে কাজ করতেন। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য তাকে কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
ইউক্রেন সীমান্তে সোনা মোতায়েনের পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করে রাশিয়া। প্রতিরোধ করছে ইউক্রেনের সেনারাও।
যুদ্ধে প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। বাস্তুচ্যুত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। এরই মধ্যে তিন দফা ইউক্রেন-রাশিয়ার বৈঠক হলেও কার্যত যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।