রাশিয়ার সেনারা কিয়েভ দখলের চেষ্টা করলে ইউক্রেনীয়রা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জেলেনস্কি এ হুঁশিয়ারি দেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
রুশ সামরিক অভিযানের ১৮তম দিন রোববার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়। সে শব্দ শুনে ঘুম ভাঙে রাজধানীবাসীর।
এর আগের রাতে জেলেনস্কি বলেন, ‘তারা (রাশিয়া) ব্যাপক বোমা ছুড়ে সহজে এ অঞ্চলের ইতিহাস মুছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে…এবং আমাদের সবাইকে নিঃশেষ করে দিলেই কিয়েভে প্রবেশ করতে পারবে। এটাই যদি তাদের লক্ষ্য হয়, তাহলে তাদের আসতে দিন, তবে এখানে শুধু তাদেরই বসবাস করতে হবে।’
এর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিমানবিধ্বংসী অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ঋণ করে হলেও বিমান ধ্বংসকারী অস্ত্র কিনতে চায় ইউক্রেন।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কোন কোন দেশের কাছ থেকে বিমানবিধ্বংসী অস্ত্রব্যবস্থা কেনা যায়, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছে কিয়েভ।
জেলেনস্কি বলেন, ‘(বিভিন্ন দেশে) ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী এমন প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে, যা এ দেশে স্থাপন করা যায়। বিশ্বের কোন প্রান্তে এটি (প্রতিরক্ষাব্যবস্থা) আছে, তা খুঁজে বের করেছে ইউক্রেন। আরও বিস্তারিত বলতে গেলে গুদাম পর্যন্ত খোঁজ নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে যে কারও কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র কিনতে চায় কিয়েভ।