সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার দেশ চীনে গত দুই বছরের মধ্যে দৈনিক শনাক্তের রেকর্ড গড়েছে। রোববার দেশটিতে ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ৩ হাজার ৩৯৩ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্তের কথা জানানো হয়েছে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, শনাক্তের এই সংখ্যা গতকালের চেয়ে দ্বিগুণ এবং গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
হঠাৎ করে এভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ সাংহাইয়ের সব স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। উত্তরাঞ্চলের অনেক শহরে দেয়া হয়েছে লকডাউন।
দেশটির কমপক্ষে ১৯টি রাজ্য এখন ভাইরাসটির ওমিক্রন ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানো ঠেকাতে যুদ্ধ করছে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে।
রোববার সেখানের জিলিং শহরটি কার্যত লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। শত শত বাসিন্দাকে ঘরে রাখা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি নতুন নতুন ধরন ও রূপ পাল্টে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬০ লাখ ৬২ হাজার ৯০১ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ৪৫ কোটি ৭২ লাখের বেশি মানুষ।
প্রথম শনাক্ত হওয়া চীনে একটি সময় সরকার ‘শূন্য করোনা’ নীতি ঘোষণা করে লকডাউন, পরিবহনে কড়াকড়ি এবং ব্যাপকভাবে নমুনা পরীক্ষা করা শুরু হয়।
তিন মাসের কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমে করোনার উৎপত্তিস্থল উহান শহরকে করোনামুক্ত করতে সক্ষম হয় চীন সরকার। ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ছাড় পান শেষ করোনা আক্রান্ত রোগী।
এরপর অবশ্য সময় যত গড়িয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা তার রূপ বদল করেছে। রূপ বদল করে ছড়িয়ে পড়া উচ্চ সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন চীনেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
জিলিং শহরের কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানে শহরের বাসিন্দাদের ছয়বার করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রোববার শহরটিতে পাঁচ শতাধিকের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে।
পাশের শহর চাংচুন শিল্পনগরী, সেখানে ৯০ লাখ মানুষের বাস, শহরটি গত শুক্রবার লকডাউন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন করে রোগী বাড়তে থাকায় অস্থায়ীভাবে তিনটি হাসপাতাল নির্মাণ করছে দেশটি।