রাশিয়ার ‘অনুগত মিত্র’ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তেল বিক্রি করতে চায় ভেনেজুয়েলা।
স্থানীয় সময় শনিবার ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফেলিক্স প্ল্যাসেনসিয়া তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে এ ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
আনাদোলুর বরাত দিয়ে আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে তেলের ব্যবসা অদ্ভুত কোনো বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেলের ব্যবসা করে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভেনেজুয়েলার জ্বালানি রপ্তানি স্বাভাবিক হওয়া সব পক্ষের জন্যই কল্যাণকর।
তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলার সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানোর পাশাপাশি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে একমাত্র এবং বৈধ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিলে ওয়াশিংটনকে সবসময়ই স্বাগত জানাবে কারাকাস।
প্ল্যাসেনসিয়ার আশা, ভেনেজুয়েলার তেল খাতকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
ওই সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভেনেজুয়েলা ‘রাশিয়া সরকারের অনুগত মিত্র’ থাকবে এবং দেশটি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘দায়িত্বশীল রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবে বিবেচনা করে।
ভেনেজুয়েলায় মাদুরোবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে ২০১৯ সালে কারাকাসের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে ওয়াশিংটন। সে সময় আমেরিকাপন্থি বিরোধী দলের নেতা হুয়ান গুয়াইদোকে ‘অন্তর্বতী প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র, তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রুশ তেল-গ্যাস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর ভেনেজুয়েলার দিকে ঝুঁকছে আমেরিকা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা ভেনেজুয়েলা সফর করে মাদুরো সরকারের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ধারণা করছেন, রাশিয়ার বিকল্প হিসেবে ভেনেজুয়েলা থেকে অশোধিত তেল আমদানি করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এ বিষয়ে কোনো চুক্তির ঘোষণা আসেনি।