কিয়েভে পশ্চিমাদের পাঠানো অস্ত্রের চালানে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই রিয়াবকভ শনিবার এ হুমকি দেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে বিভিন্ন দেশের অস্ত্র সরবরাহ কেবল বিপজ্জনক পদক্ষেপ নয়; এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যেখানে অস্ত্রের বহরগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।’
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় মস্কো বসছে না জানিয়ে রিয়াবকভ বলেন, ‘ওয়াশিংটন আমাদের সতর্কতাকে গুরুত্বসহকারে নেয়নি।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমনটা ঘটলে মস্কোর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে পশ্চিমাদের সামরিক জোট- ন্যাটো।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। আমেরিকা ও তার মিত্ররা ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা দিলেও মস্কোর সঙ্গে সরাসরি সংঘাত এড়াতে চাইছে শুরু থেকেই।
আর তাই ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার যে আকুতি জানিয়েছিল ইউক্রেন সরকার, তা প্রত্যাখ্যান করে দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ন্যাটোও একই পথে হাঁটছে। সামরিক জোটটি সাফ জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াবে না; অর্থাৎ ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না।
ইউক্রেনকে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা। ৩ হাজার ৬১৫টি এনএলএডব্লিউ অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল ও জ্যাভলিন মিসাইল পাঠিয়েছে ব্রিটেন। নর্ডিক অঞ্চলের দেশগুলো পাঠিয়েছে ১০ হাজারের বেশি অ্যান্টি ট্যাংক অস্ত্র।
এ ছাড়া রুশ অভিযানের প্রতিবাদে মস্কোয় নানা নিষেধাজ্ঞায় দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।