ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলোর নানা নিষেধাজ্ঞার জবাবে নিজেদের দেশ থেকে বেশ কিছু পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাঠ, টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম, মেডিক্যাল সরঞ্জাম, যানবাহন, কৃষিপণ্য ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি।
এছাড়া রাশিয়ার বন্দরে বিদেশি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সাল জুড়েই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। প্রায় ২০০ ধরনের পণ্য এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসতিন জানিয়েছেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর তৈরি পণ্যের ওপরেও এই নিষেধাজ্ঞা চালু থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে কার, রেলওয়ের বগি ও কনটেইনার।
এর আগে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ছেড়ে যাওয়া পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ জাতীয়করণ করা হতে পারে।
ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদে ইতোমধ্যে ক্যাটারপিলার, রিও টিন্টো, স্টারবাকস, সনি ও ইউনিভারের মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার রাশিয়া ছেড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ জাতীয়করণের জন্য একটি আইনের প্রথম ধাপের অনুমোদন দিয়েছে পুতিন সরকার।
এর আগে মঙ্গলবার রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার অর্থনীতির মূল শক্তির ওপর আঘাত হানার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বাইডেন বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার তেল-গ্যাস এবং জ্বালানিসহ সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করছি। তার মানে আমেরিকার বন্দরে রাশিয়ান তেল আর গ্রহণযোগ্য হবে না। যুদ্ধবাজ পুতিনের বিরুদ্ধে আমেরিকার পক্ষ থেকে এটি বড় ধাক্কা।’