ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল।
তুরস্কের মধ্যস্থতায় দেশটির আনাতোলিয়া শহরে রুশ ও ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলা শুরুর পর থেকে বেলারুশে তিন দফা দুই দেশ আলোচনায় বসলেও এই প্রথমবারের মতো উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে বসে তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এতে মধ্যস্থতা করেন।
এর আগে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালে দেশটির ৬টি অঞ্চলে খণ্ডকালীন যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নেয় রাশিয়া। সেই সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কয়েকটি মানবিক করিডর খুলে দেয়ার বিষয়ে একমত হয় রুশ প্রতিনিধিদল।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা জানিয়েছেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম দফা আলোচনা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে পরবর্তী অগ্রগতিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।
তুরস্কে বৈঠকের পর দিমিত্র বলেন, ‘রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের দেয়া অন্যায্য দাবিগুলো ইউক্রেনীয়দের জন্য আত্মসমর্পণের সমান।’
ইউক্রেনের প্রতিনিধি এ সময় সাফ জানিয়ে দেন, আত্মসমর্পণ করবে না তাদের সেনারা।
দিমিত্র অভিযোগ করেন, ল্যাভরভ এরই মধ্যে বলেছিলেন যে তার দেশ আরও বেশিমাত্রায় সামরিক অভিযান পরিকল্পনা করতে যাচ্ছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘ইউক্রেন সংকট সমাধানে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে দফায় দফায় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে মস্কো।’
তবে ত্রিপক্ষীয় এই বৈঠকে মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন রুশ ও ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, মানবিক ইস্যুতে একমত হলেও ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করবে না।