ভারতে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ মেরুকরণ। বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
কলকাতার নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার তৃণমূলের বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে তিনি উপস্থিত হলে পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জয় প্রকাশের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতেই ঘটে জয়প্রকাশের অভিষেক। তিনি পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদও।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সহ সভাপতি হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।
প্রথম প্রতিক্রিয়ায় জয়প্রকাশ বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ভালো লাগছে।'
বিজেপি নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'বাংলার আশা, বাংলার ভরসা। সমস্ত কিছু এগিয়ে নিতে তো একটা বাংলার দল লাগবে। আগে তো বাংলার কথা ভাবতে হবে।
'আপনারা উত্তর ভারতের নেতাদের এনে বাংলার মন ছুঁতে পারছেন না, বাংলার হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারছেন না। এ কথা বলার জন্য আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।'
বিজেপিতে মন মতো পদ না পেয়ে অন্য বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে প্রকাশ্যে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন জয়প্রকাশ। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিজেপি তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে। এতে জয়প্রকাশ আরও বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন। দলের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে।
বিজেপি তাকে বহিস্কার করলে শুরু হয় তৃণমূলের প্রশংসা। সেখানে জায়গা পেতে শুরু করেন নেতৃত্বের আশেপাশে ঘোরাঘুরি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা সত্যি করে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি বড় পদ নিয়ে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, 'শৃঙ্খলাহীন সৈনিকের বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। আর উনি তো আগেই সাসপেন্ডেড ছিলেন।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা সাবেক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গায়ক বাবুল সুপ্রিয় টুইটে জয় প্রকাশকে স্বাগত জানিয়ে লিখেছেন, 'যাক, এতদিনে একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন জয় প্রকাশদা। ওনাকে আমার অভিনন্দন।'