ইউক্রেন প্রশ্নে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এবার শক্ত পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউজ থেকে মঙ্গলবার দেয়া ভাষণে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। জানিয়েছেন, রাশিয়ার অর্থনীতির মূল শক্তির ওপর আঘাত হানার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বাইডেন বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার তেল-গ্যাস এবং জ্বালানিসহ সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করছি। তার মানে আমেরিকার বন্দরে রাশিয়ান তেল আর গ্রহণযোগ্য হবে না। যুদ্ধবাজ পুতিনের বিরুদ্ধে আমেরিকার পক্ষ থেকে এটি বড় ধাক্কা।’
পশ্চিমারা বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোর জ্বালানি চাহিদার বড় একটি অংশ মেটায় রাশিয়া। তারা আশঙ্কা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞায় সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাবে, দাম হবে আকাশচুম্বী।
হোয়াইট হাউজ থেকে বক্তব্য রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য জ্বালানি প্রশ্নে রাশিয়ার ওপর খুব একটা নির্ভরশীল না। আমেরিকান ফুয়েল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স (এএফপিএম) ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে, ২০২১ সালে দিনে গড়ে দুই লাখ ৯ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র; যা দেশটির মোট জ্বালানি আমদানির ৩ শতাংশ।
অন্যদিকে জ্বালানি আমদানিতে রাশিয়ার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল ইউরোপের দেশগুলো। তাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের ৩৫ শতাংশ আমদানি হয় রাশিয়া থেকে।
এ প্রসঙ্গ টেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘এটা জানি, আমাদের মতো পদক্ষেপ নেয়ার মতো অবস্থানে অনেক ইউরোপীয় মিত্র দেশের হয়তো নেই। আমরা ইউরোপীয় দেশগুলোর চেয়ে অভ্যন্তরীণভাবে অনেক বেশি জ্বালানি উৎপাদন করি। রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ইউরোপ ও অন্যান্য মিত্র দেশগুলো নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল তৈরিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’