গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরেই রুশ সেনারা দেশটিতে হামলা শুরু করে। ফলে সাধারণ মানুষ রাজধানী কিয়েভসহ প্রধান শহরগুলো ত্যাগ করা শুরু করে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী পশ্চিমা দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে ১৭ লাখের বেশি ইউক্রেনীয়। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু।
যুদ্ধ থেকে বাঁচতে কিয়েভসহ প্রধান শহরগুলো ত্যাগের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। এর আগে ইউক্রেন সরকার দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে। ফলে সক্ষম পুরুষদের যুদ্ধ করার জন্য কিয়েভে থেকে যেতে হয়। নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের শহর ত্যাগের অনুমতি দেয়া হয়।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিওপোল ও সুমি থেকে বেসামরিক মানুষকে সরে যাওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহর ত্যাগের জন্য মোট ৬টি সেইভ প্যাসেজ ঠিক করে দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে শহর ছাড়ার জন্য ভিড় জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ছবি: এএফপি
খারকিভ ও মারিওপলের রেলস্টেশনগুলো শহর ত্যাগে ইচ্ছুক মানুষের নরকে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আসা কয়েকটি ছবিতে শহর ত্যাগে ইচ্ছুক মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।
যদিও ইউক্রেন বলছে এর মাঝেও রাশিয়া কয়েকটি শহরে রকেট নিক্ষেপ করছে। ইউক্রেনের পুলিশ জানিয়েছে, কিয়েভের কাছে ইরপিন শহর থেকে প্রায় ২ হাজার বেসামরিক মানুষ বেরিয়ে যেতে পেরেছে।
শুধু পশ্চিমা দেশগুলোতেই নয়, যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই পূর্ব ইউক্রেনের অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রাশিয়ায় চলে গেছে।