ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চলছে। রাজধানী কিয়েভ ও খারকিভ ছাড়াও দেশটির শহরগুলোতে এখন শুধু সাইরেনের শব্দ। আকাশে উড়ছে রুশ যুদ্ধবিমান। রুশ হামলার মধ্যেই দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বিশ্ববাসীকে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এবার সিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিতে এবং রুশ সেনাদের হামলার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করতে আগত বিদেশিদের ইউক্রেনে প্রবেশে কোনো ভিসা লাগবে না।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক যোদ্ধাদের ভিসাবিহীন প্রবেশের জন্য নতুন একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এদিকে মাক্সারের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, রুশ সেনাদের ৪০ মাইল লম্বা একটি সামরিক বহর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
হোয়াইট হাউস রাশিয়ার কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশাল কনভয় নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন নয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সংঘাত, বেসামরিক হতাহত ও নির্বিচার হত্যা বৃদ্ধি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রুশ হামলায় ইউক্রেনের প্রতিরোধে বিস্মিত হয়েছেন। যদিও তারা আশঙ্কা করছেন, সামনের দিনগুলো ইউক্রেনীয় সেনাদের জন্য আরও কঠিন হতে পারে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে পোল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানির মতো অনেক ইউরোপীয় দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য ৩৫০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের।
প্রথম পাঁচ দিনের হামলায় রাশিয়ার ৫ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। এ সময়ে রাশিয়ার ২৯টি বিমান, ২৯টি হেলিকপ্টার, ১৯১টি ট্যাংক, ৮১৬টি সাঁজোয়া যান, ৭৪টি বন্দুক, একটি বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ২১টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম, ২৯১টি যানবাহন, ৬০টি জলকামান, ৩টি ড্রোন ও ২টি জাহাজ/মোটরচালিত নৌকা ধ্বংস করেছে ইউক্রেন।