পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাদের এবার বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সেনাদের রোববার খারকিভ শহর থেকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। কিয়েভের এমন দাবির মুখে দেশটির বিরুদ্ধে এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এমন হামলার হুমকি কার্যত কখনই বাস্তবায়ন হবে না।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারে পুতিনের হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমাদের জোট ন্যাটো ও এর অন্যতম সদস্য যুক্তরাষ্ট্র।
ন্যাটোপ্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, ‘রুশ সেনাদের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকতে পুতিনের এমন নির্দেশ ভয়াবহ দায়িত্বহীনতার প্রকাশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের মতো একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের মূল ভূখণ্ডে হামলার হুমকিকে রাশিয়া ন্যক্কারজনকভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছে। তাই এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিকে আর উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই।’
যুক্তরাষ্ট্র এমন হুমকিকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ইউক্রেনের ওপর রুশ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের চতুর্থ দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের।
তিন দিনের হামলায় রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে।