ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যতক্ষণ না পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে, উত্তেজনা কমাতে ফরাসি প্রেসিডেন্টের তত্ত্বাবধানে শীর্ষ বৈঠকের বিষয়ে ‘নীতিগতভাবে’ সম্মত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন- পুতিন শিগগিরই ইউক্রেনে হামলা শুরু করার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।
বিবৃতিতে সাকি বলেন, ‘আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) সব সময় কূটনীতির জন্য প্রস্তুত। কূটনীতির পরিবর্তে রাশিয়া যুদ্ধ বেছে নিলে আমরা দ্রুত ও কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করতে প্রস্তুত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে, রাশিয়া শিগগিরই ইউক্রেনের ওপর পূর্ণমাত্রার হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’
ফ্রান্সের এলিসি প্যালেসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবিত শীর্ষ সম্মেলনটি রোববার পুতিন ও বাইডেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের সময় প্রেসিডেন্ট মাখোঁর পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল।
রাশিয়ার যুদ্ধপ্রস্তুতি ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞার হুমকির পরও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলে আসছেন, যুদ্ধ ঠেকাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় প্রস্তুত।
এদিকে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এই সেনা মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে। এরই মধ্যে কিছু স্যাটেলাইট চিত্র উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ইউক্রেন সীমান্তে বহু যুদ্ধবিমান জড়ো করেছে রাশিয়া।
স্যাটেলাইট থেকে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে বিমান ঘাঁটিগুলোয় জড়ো করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক রুশ যুদ্ধবিমান।