বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্রিপ্টো সমালোচক বাফেটও এবার বিটকয়েনের ব্যাংকে

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:২৬

১৪ ফেব্রুয়ারি ওয়ারেন বাফেট ১ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের নুব্যাংকের স্টক কেনেন ও একই সময়ে তিনি ভিসা ও মাস্টারুকার্ডের ১.৮ বিলিয়ন ডলার ও ১.৩ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করেন। এতে বোঝা যায়, তিনি এখন ক্রেডিট কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের চেয়ে ফিনটেক কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী।

বিশ্বে স্টক ইনভেস্টর হিসেবে যার নাম সবার আগে আসে, তিনি ওয়ারেন বাফেট। স্টক মার্কেটে সফল এই ব্যক্তি ছিলেন ক্রিপ্টোকারেন্সির ঘোর বিরোধী। তবে এবার তিনিই ঝুঁকছেন বিটকয়েনের দিকে।

কয়েন টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়ারেন বাফেটের ‘বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে’ ভিসা ও মাস্টারকার্ড হোল্ডিংসে বিনিয়োগের একটি অংশ সরিয়ে ব্রাজিলের ফিনটেক ব্যাংক নুব্যাংকে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এই ব্যাংকটি মূলত ব্রাজিলের বিটকয়েন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অত্যধিক জনপ্রিয়। ২০২১ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ ট্রেডেট ফান্ড (বিটকয়েন লেনদেন, কেনাবেচা) সমর্থন করে আসছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি ১ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের নুব্যাংকের স্টক কেনেন ও একই সময়ে তিনি ভিসা ও মাস্টারুকার্ডের ১.৮ বিলিয়ন ডলার ও ১.৩ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করেন। এতে বোঝা যায়, তিনি এখন ক্রেডিট কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের চেয়ে ফিনটেক কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী।

যদিও বাফেটের মতো অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী বিটকয়েনের মতো উদীয়মান বিকেন্দ্রীভূত আর্থিক পদ্ধতিকে উপহাস করতেন। তিনি এটিকে বলতেন এমন এক সম্পদ যা ‘কিছুই তৈরি করে না।’

অথচ এখন বাফেটই ক্রেডিট কোম্পানিগুলো থেকে দূরে সরে গিয়ে বিটকয়েন সমর্থিত ব্যাংকে বিনিয়োগ করছেন।

ক্রিপ্টো ওয়ালেট সার্ভিস মারকিউরিওর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অপারেটিং অফিসার গ্রেগ ওয়াইসম্যান জোর দিয়ে বলেছেন, অতীতের সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে বাফেটের নুব্যাংকে বিনিয়োগকে ফিনটেক ও ক্রিপ্টোর প্রতি সমর্থন হিসেবে দেখা যেতে পারে। সেই হিসেবে বার্কশায়ারের বস ডিজিটাল কারেন্সি ইকোসিস্টেকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করছেন।

বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি বদলে দেবে বিশ্বের আর্থিক খাত। এমনটাই ধারণা করছেন প্রযুক্তিপ্রেমীরা। এদিকে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানও ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছে। বিটকয়েন নিয়ে কাজ করতে ইতোমধ্যে টুইটার ছেড়েছেন জ্যাক ডরসি। এ ছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম চেইনশপ ব্র্যান্ড ওয়ালমার্ট নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি আনতে যাচ্ছে।

দেশগুলোও পিছিয়ে নেই। এলসালভাদর ও টোঙ্গা ইতোমধ্যে বিটকয়েনকে রাষ্ট্রীয় মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করেছে। বড় দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া ক্রিপ্টোকারেন্সিকে মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দ্বারপ্রান্তে।

সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বৈশ্বিক আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান পেপ্যাল ঘোষণা করেছে তাদের নতুন এক সার্ভিসের মাধ্যমে সরাসরি বিটকয়েন কেনাবেচা করা যাবে।

সর্বশেষ ওয়ারেন বাফেটের ক্রিপ্টো সমর্থিত ব্যাংকে বিনিয়োগে মানুষ ক্রিপ্টোতে আরও আগ্রহী হবে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তিপ্রেমীরা।

এ বিভাগের আরো খবর