বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘প্রকাশ্যে হিজাব’ বরদাশত করা হবে না: বিজেপি এমপি

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১২:৪০

মধ্যপ্রদেশের ভোপালে মন্দিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, ‘কোথাও হিজাব পরার দরকার নেই। যারা নিজের ঘরে নিরাপদ নয়, তারাই হিজাব পরে। আপনাদের মাদ্রাসা আছে। সেখানে যদি আপনারা হিজাব পরতে চান, আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু যেখানে ‘হিন্দু সমাজ’ আছে, সেখানে হিজাবের দরকার নেই।’

কর্ণাটকে মুসলিম শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতি মেলেনি। কলেজ বন্ধ থাকার পর বুধবার ফের খুলে দেয়ার পরই রাজ্যের কলেজগুলোর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এবার মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মধ্যেই বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর মুসলিম নারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘এটি (মুসলিম নারীদের হিজাব পরা) হবে না। সহ্য করা হবে না।’

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান হিজাব ইস্যু নিয়ে ঠাকুর বলেন, ‘(মুসলিম নারীদের) হিজাব পরার কোনো দরকার নেই। কারণ হিন্দুরা নারীদের পূজা করে। কিন্তু যারা বাড়িতে নিরাপদ বোধ করবে না, তারা বাড়িতে হিজাব পরতে পারে।’

মধ্যপ্রদেশের ভোপালে মন্দিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘কোথাও হিজাব পরার দরকার নেই। যারা নিজের ঘরে নিরাপদ নয়, তারাই হিজাব পরে। আপনাদের মাদ্রাসা আছে। সেখানে যদি আপনারা হিজাব পরতে চান, আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু যেখানে ‘হিন্দু সমাজ’ আছে, সেখানে হিজাবের দরকার নেই।’

প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, ‘হিজাব হল পর্দা। যারা আপনাকে খারাপ চোখে দেখে তাদের বিরুদ্ধে পর্দা করা উচিত। কিন্তু এটা নিশ্চিত হিন্দুরা আপনাদের খারাপ চোখে দেখে না। তারা নারীদের পূজা করে।’

আপনার বাড়িতে হিজাব পরা উচিত।’

উল্লেখ্য, মালগাও বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা সন্ত্রাসী আইনে মামলার মূল আসামি বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। আগেও তিনি বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে বেশ কয়েকবার আলোচনায় এসেছেন।

এদিকে কর্ণাটকের উত্তরাঞ্চলের বিজয়াপুরা এলাকার সরকারি পিইউ কলেজের কর্তৃপক্ষ হিজাব ও বোরকা পরে আসায় ছাত্রীদের এদিন ক্লাস থেকে ফিরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে ক্লাসের বাইরে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রীরা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় চিহ্ন প্রকাশ করে এমন পোশাক পরা যাবে না, আদালতের এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার কথা বলে ছাত্রীদের ক্লাস করতে বাধা দিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে অধ্যক্ষকে বলতে শোনা গেছে, তিনি শুধু আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ পালন করছেন।

এদিকে ক্লাস করতে দেয়া হবে না- এ তথ্য আগে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা। তারা কলেজে ‘বিচার চাই’ স্লোগানে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

ঘটনার শুরু ৩১ ডিসেম্বর কর্ণাটকের উদুপি জেলায়। সেখানকার একটি সরকারি কলেজে সেদিন পোশাক নিয়ে বিধিনিষেধ দেয়া হয়। এতে মুসলিম ছাত্রীরা ক্লাস চলাকালে হিজাব বা নেকাব পরে থাকতে পারবেন না বলে জানানো হয়। তবে ক্লাস শেষে বা শুরুর আগে পর্দা করতে আপত্তি নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

এ বিভাগের আরো খবর