ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো রাজ্যের পেট্রোপলিস শহরে বন্যায় ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে তিন শতাধিক মানুষ। বাড়ি ছাড়া এ মানুষগুলোকে অস্থায়ীভাবে স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে দেয়া হয়েছে।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন ঘণ্টার ২৯ সেন্টিমিটারের ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় পুরো পেট্রোপলিস শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখে হতবাক দেশটির কর্মকর্তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তাগুলো বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু ঘরবাড়ি চাপা পড়েছে। এদিকে ভয়াবহ বৃষ্টিতে তাদের বাড়িঘর ভেসে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। শহরের মোরো দা অফিসিনা এলাকার প্রায় ৮০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
রিও ডি জেনিরোর গভর্নর ক্লাউডিও ক্যাস্ত্রো ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখানে যুদ্ধের মতো- খুঁটিতে গাড়ি ঝুলছে, গাড়ি উল্টে গেছে এবং প্রচুর কাঁদা ও পানি এখনো রয়ে গেছে।
মস্কো সফরে থাকা দেশটির প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোনারো ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, মেয়রকে আমরা যা করতে পারি তা দিতে চাই।
এ ছাড়া তিনি জানিয়েছেন, অঞ্চলটির ট্রাফিকব্যবস্থা পুনরায় সচল করার জন্য দ্রুতই কেন্দ্রীয় তহবিল প্রকাশ করবেন তিনি। মঙ্গলবারও তিনি পেট্রোপলিসের দুর্যোগ নিয়ে টুইট করেছেন, ‘বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তার প্রার্থনা রয়েছে।’
৯৪ জনের মৃত্যুতে পেট্রোপলিস সিটি হল তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে। ফায়ার সার্ভিস বিভাগ এবং স্থানীয় সিভিল ডিফেন্সের দলগুলো বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
দুর্যোগের শিকার পাহাড়ি শহর পেট্রোপলিস রিও ডি জেনিরোর উত্তরে অবস্থিত। সাধারণত পর্যটকদের আনাগোনার জন্য শহরটির পরিচিতি রয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে শহরটি পুনরায় প্রাণচঞ্চল হতে সময় লাগবে।