কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোডের সঙ্গে সমন্বয় করে হিজাব ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। হিজাব প্রশ্নে চলা রিটের আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার এ আর্জি জানান হিজাবের আধিকার চাওয়া শিক্ষার্থীদের আইনজীবী।
বিষয়টি নিয়ে বুধবারও শুনানি হবে কর্ণটকের হাইকোর্টে।
ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই রাজ্যের একটি কলেজে গত ৩১ ডিসেম্বর ছাত্রীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে সেদিনই বিক্ষোভ করেন ছয় ছাত্রী। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও অনেকে। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গেরুয়া স্কার্ফধারী ও হিজাবের সমর্থনে আন্দোলনকারীদের সংঘাতও হয়েছে। হিজাবের পক্ষে সোচ্চার বিবি মুসকান খানের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এই পরিস্থিতির মাঝেই হিজাব পরার অধিকার নিয়ে জানুয়ারিতে পাঁচ শিক্ষার্থী হাইকোর্টে আবেদন করেন। এক দফা শুনানির পর সেটি হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়।
কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রিতু রাজ আওয়াস্তির নেতৃত্বে তিন বিচারকের বেঞ্চ ১০ ফেব্রুয়ারি হিজাবের পক্ষে আবেদনকারীদের বক্তব্য শোনে। পরে বেঞ্চ জানায়, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। রাজ্যে স্থিতিশীলতার ফেরাতে এই ইস্যুর দ্রুত সুরাহা করা হবে।
এরই মাঝে সোমবার থেকে খুলেছে কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে আদালত জানিয়েছে, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবারের শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী দেবাদত্ত কামাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার পক্ষে যুক্তি দেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে কলেজ ইউনিফর্মের সঙ্গে মিল রেখে হিজাব পরার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
দেবাদত্ত সাউথ আফ্রিকার একটি স্কুলের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আফ্রিকার দেশটির একটি হিন্দু স্কুলে দক্ষিণ ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা নাকফুল পরতে পারে; অথচ এটা স্কুল নির্ধারিত রীতি নয়।
‘বিষয়টি ইউনিফর্মের না, ড্রেস কোডে কিছু সংযুক্তির বিষয়। দেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা অধিকারের কথা স্পষ্ট করে বলা আছে। আমাদের সবার ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’