ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে ঘিরে চলমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনায় প্রস্তুত।
স্পুৎনিক নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেসকভ বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার নিরাপত্তাসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সমঝোতা ও কূটনীতিকে প্রাধান্য দেন। ইউক্রেন সেখানে একটি অংশ। তবে রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে এটি বিরাট এক সমস্যা এবং অবশ্যই পুতিন সমঝোতা চান।
এর আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রস্তাবের বিষয়ে মস্কোর প্রতিক্রিয়া অনুমোদন করেছেন, এমনটাই জানিয়েছে ক্রেমলিন। তবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, মস্কোর প্রস্তাবে ওয়াশিংটনের প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক।
রাশিয়ার প্রধান দাবি একসময়ের সোভিয়েতভুক্ত ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে ন্যাটো সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া ন্যাটোর আকারকে ১৯৯৭ সালের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে।
পুতিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পেলে ক্রিমিয়া দখলের চেষ্টা করতে পারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে। এবার যুদ্ধ হুমকির মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার হুমকি ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ নিরুৎসাহিত করার পরেও ইউক্রেন ন্যাটো সদস্য হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
তবে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লক্ষাধিক সেনা মোতায়েনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন পশ্চিমারা। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে দূতাবাসের প্রায় সব কর্মীকেই সরিয়ে নিয়েছে। যেকোনো সময় ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে পারে রাশিয়া- এমনটাই মনে করছে দেশটি। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ইউক্রেনের অনেক পশ্চিমা মিত্রও তাদের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে। তবে চীন এখন পর্যন্ত কোনো দূতাবাসকর্মী সরানোর উদ্যোগ নেয়নি।
তবে রাশিয়া হামলার যেকোনো পরিকল্পনার দাবি নাকচ করে দিয়েছে। বরঞ্চ দেশটি জানিয়েছে, কূটনীতি ও সমঝোতার মাধ্যমেই সমাধান চায় তারা।