হিজাব নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ককে অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছে ভারতের কর্ণাটকের কারওয়ারের রামকৃষ্ণ আশ্রম।
আশ্রমের শীর্ষ পুরোহিত স্বামী ভাবেশানন্দ এক বিবৃতিতে সোমবার এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজে মুসলিম মেয়েদের ড্রেসকোড নিয়ে একটি অপ্রয়োজনীয় আলোচনা চলছে। এ সমাজের বিভিন্ন স্তরে এই বিষয়ে একটি তুমুল বিতর্কের সাক্ষী হয়ে আমি বেদনা অনুভব করছি। এটি অবশ্যই ভালো রুচি এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির স্বার্থে নয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জ্যেষ্ঠ আইনজীবী দেবদত্ত কামাত, যিনি স্কুল ও কলেজে হিজাব পরার অধিকারের জন্য লড়াইরত ছাত্রদের রক্ষার জন্য ইসলামিক ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত করার জন্য ডানপন্থি ভাষ্যকারদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন, তিনি হিন্দু ধর্মের কোনো ক্ষতি করেননি।’
স্বামী ভাবেশানন্দ বলেন, ‘আমি এটা দেখে আরও বেদনাহত যে, দেবদত্ত কামাতের নাম এই বিতর্কে টেনে আনা হচ্ছে; কারণ তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে আদালতে একটি পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ তাকে হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে একটি বিষয়কে সমর্থন করছে বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। এই ধারণাটি একেবারেই অবাঞ্ছিত এবং ভিত্তিহীন।
‘আদালতে একজন আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীকে মক্কেলের যুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করা তার পেশাদারি দায়িত্ব। এটাকে হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না।’
কামাতের ওপর আক্রমণকে ‘অযৌক্তিক, পরিকল্পিত এবং ভিত্তিহীন’ মন্তব্য করেছেন প্রধান পুরোহিত।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের উদুপিতে স্কুল ও কলেজে হিজাব না পরার আদেশের বিরুদ্ধে কর্ণাটক হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ছাত্রীদের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন দেবদত্ত কামাত।
তিনি বৃহস্পতিবার কর্ণাটক হাইকোর্টে বলেন, ‘ধর্মীয় মাথার স্কার্ফগুলো তাদের সংস্কৃতির অংশ, যাকে প্রভাবিত করা যায় না। আমাদের মৌলিক অধিকার কলেজ উন্নয়ন কমিটির কাছে জিম্মি।’