হিজাব না পরার কারণেই ভারতে ধর্ষণের হার বেশি বলে মন্তব্য করেছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক জমির আহমেদ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে রোববার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছেন এনডিটিভি।
ভারতের এই প্রদেশে সম্প্রতি শুরু হওয়া হিজাব-বিতর্কের আঁচ বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিতর্ক যেন আরও উসকে দিলেন এই বিধায়ক।
জমির আহমেদ বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে হিজাব মানে পর্দা। একটা বয়সের পর মেয়েদের সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখতে হিজাব ব্যবহার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে এখন দেখবেন ধর্ষণের হার সবচেয়ে বেশি। এর কারণ অনেক নারীই হিজাব পরেন না।’
হুবলির কংগ্রেস বিধায়ক জমির বলেন, ‘তবে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। যারা নিজেদের রক্ষা করতে চান, তারা হিজাব পরেন। যে নারী নিজের সৌন্দর্য দেখাতে চান না, তিনি হিজাব পরেন। এটা বহু বছরের রীতি।’
কর্ণাটকের উদুপি জেলার একটি সরকারি কলেজে গত ৩১ ডিসেম্বর পোশাক নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ হয়। ওই আদেশ অনুযায়ী, মুসলিম ছাত্রীরা ক্লাস চলাকালে হিজাব বা নেকাব পরে থাকতে পারবেন না। তবে ক্লাস শেষে বা শুরুর আগে পর্দা করতে আপত্তি নেই।
১৯৮৫ সাল থেকে এই কলেজছাত্রীদের ড্রেস কোড- চুড়িদার কিংবা দোপাট্টা। কিন্তু অনেক মুসলিম ছাত্রী এসবের ওপর হিজাব বা নেকাব পরে আসতেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই দিনই প্রতিবাদ করেন ছয় শিক্ষার্থী। সময়ের সঙ্গে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
এর প্রেক্ষাপটে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো শিক্ষাঙ্গনে গেরুয়া চাদর ব্যবহার শুরু করেন। সার্বিক পরিস্থিতিতে সোমবার আদালতে হিজাব-বিতর্কে একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে।