চলমান সংকটের প্রেক্ষাপটে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক করতে বসতে চায় ইউক্রেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবার এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
দিমিত্র কুলেবার বলেছেন, সীমান্তে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাশিয়া। এরপরই ব্যাপারটির স্বচ্ছতা নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়।
ইউরোপীয় নিরাপত্তা দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠকে বসা হবে বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। মিত্র দেশ বেলারুশের সঙ্গে চালাচ্ছে সামরিক মহড়া। ব্ল্যাক সিতে দেখা গেছে দেশটির নৌবাহিনীর শক্ত অবস্থান। ইউক্রেনকে কার্যত ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া।
সীমান্তে সেনা মোতায়েনের প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে উত্তেজনা। তবে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর সম্ভাবনা নিয়ে কার্যত কোনো বক্তব্যই দিচ্ছে না।
এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে হামলার শঙ্কা নিয়ে কথা বলছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, যে কোনো সময় রাশিয়া হামলা শুরু করতে পারে। এক ডজনের বেশি দেশ ইউক্রেনে থাকা তাদের নাগরিকদের দেশ ছেড়ে যেতে বলেছে।
সার্বিক পরিস্থিতিতে অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘হামলার গুজব’ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে- এমন কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর ইউক্রেনের জন্ম। রাশিয়া ইউক্রেনকে সব সময় পশ্চিমা বলয় থেকে মুক্ত রাখতে মরিয়া। প্রতিবেশী বেলারুশও মস্কোপন্থি। পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার আধিপত্য একচ্ছত্র।
এই অবস্থায় সামরিক সক্ষমতা দেখাতে সম্প্রতি সামরিক মহড়া বড় পরিসরে শুরু করে ন্যাটো । ইউক্রেনকে জোটে ভেড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে জোর। আর এখানেই আপত্তি রাশিয়ার। তাদের দাবি, ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের যোগ দেয়া রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। এ ছাড়া সীমান্তে ন্যাটোর সামরিক মহড়ায় উদ্বিগ্ন মস্কো।
এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় রাশিয়া। সীমান্তে সম্প্রতি সেনা মোতায়েন শুরু করে তারা। ক্রেমলিন জানায়, ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে পশ্চিমাদের।