আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৭০০ কোটি ডলার জব্দ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান জনগণের দুর্দশা বিবেচনা করে এই অর্থ ফেরত দেয়ার কথা চিন্তা করেছে ওয়াশিংটন। তবে এর পুরোটা আফগানদের ফেরত দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে তারা।
এই তহবিলের অর্ধেক যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়ার পরিকল্পনা করেছে দেশটি। আর বাকি অর্ধেক আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তায় ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ-সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন।
তালেবান গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জমা থাকা ওই অর্থ আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জব্দ করা অর্থের মধ্যে ৩৫০ কোটি ডলার আফগানদের মানবিক সহায়তার জন্য গঠন করা তহবিলে যুক্ত করার অনুমতি চাইবেন তারা। ছাড় করা অর্থ যেন আফগান জনগণের জরুরি মানবিক সহায়তায় ব্যবহৃত হয়, তা নিশ্চিতে ওয়াশিংটন একটি তৃতীয়পক্ষীয় ট্রাস্ট গঠন করতে পারে।
তিনি আরও জানান, জব্দ অর্থের বাকিটা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে হামলায় নিহতদের আত্মীয়স্বজনসহ ক্ষতিগ্রস্তদের করা মামলার রায় অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ বাবদ কয়েক ধাপে খরচের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দিন দিন আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হচ্ছে। তালেবান শুরু থেকেই রিজার্ভের অর্থ তাদের ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।
জাতিসংঘে আফগানিস্তানের প্রতিনিধি সুহাইল শাহীন যুক্তরাষ্ট্রকে জব্দ তহবিলের পুরোটা ছাড় করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
তালেবানের দোহা কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
টুইটারে তিনি বলেছেন, ‘জব্দ অর্থ চুরি ও হস্তগত করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র একটি দেশের মানবিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের সর্বনিম্ন মাত্রা দেখাল।’