বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘরে ফিরে যান, ট্রাকচালকদের ট্রুডো

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:৪১

আন্দোলনকারী ট্রাকচালকদের উদ্দেশ্যে ট্রুডো বলেন, আপনারা আপনাদের লাইসেন্স হারাতে চান না, তবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে তা আপনার, চাকরি, জীবিকা এমনকি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করবে। 

কানাডায় চলছে ট্রাকচালকদের কোভিড বিধিনিষেধ বিরোধী আন্দোলন। অনেক দিন যাবৎ অচল হয়ে আছে দেশটির রাজধানী অটোয়া। এমন পরিস্থিতিতে এবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন। তিনি আন্দোলনকারী ট্রাকচালকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমরা আপনাদের কথা শুনেছি, এবার বাড়ি ফেরার পালা।’

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ট্রুডো আরও বলেন, আপনারা আপনাদের লাইসেন্স হারাতে চান না, তবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে তা আপনার, চাকরি, জীবিকা এমনকি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করবে।

ট্রুডোর সতর্কবাণী এমন সময় এলো যখন ওন্টারিও রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী অটোয়া ও গুরুত্বপূর্ণ শহর টরন্টো এই প্রদেশের অন্তর্গত। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

এদিকে ট্রাকচালকদের বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন অন্টারিওর প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড।

তবে এবার ফোর্ড কঠোর হচ্ছেন। শুক্রবার এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সীমান্ত ক্রসিং, বিমানবন্দর, বন্দর এবং প্রধান মহাসড়কে পণ্য, মানুষ ও পরিষেবার চলাচলে বাধা সৃষ্টিকারী যে কেউ আইনের আওতায় আসবেন।’

ডগ ফোর্ড বলেন, ‘অটোয়া কার্যত অচল। এটা আর এখন আন্দোলনের রূপে নেই; রাজধানী দখলদারীদের কবলে চলে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হলো।’

গত জানুয়ারির মাঝামাঝি আন্তঃসীমান্ত ট্রাকচালকদের জন্য করোনার টিকাসংক্রান্ত আদেশ জারি করে জাস্ট্রিন ট্রুডোর সরকার।

ফলে টিকা না নেয়া ট্রাকচালকদের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ফেরার পর প্রতিবারই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ হয়ে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামের আন্দোলনে নামেন তারা।

অন্টারিও কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়ে বলেছে, আইন না মানলে তাকে এক বছর পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হতে পারে। একই সঙ্গে জরিমানা গুনতে হবে সর্বোচ্চ এক লাখ ডলার।

এর আগে করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ট্রাকচালকদের চলমান আন্দোলনের জেরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানী অটোয়াতেও জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। রাজধানী শহর অটোয়ার মেয়র জিম ওয়াটসন ওই ঘোষণা দেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়তি এক হাজার ৮০০ পুলিশ কর্মকর্তা চেয়েছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর