ক্ষমতা নিয়ে চলমান বিরোধের মধ্যেই লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ দিবেইবাহ’র গাড়িবহরে বন্দুকধারীর হামলা হয়েছে।
আল জাজিরার তাদের নিজস্ব সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজধানী ত্রিপোলীতেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। সে সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিজ বাসভবনে ফিরছিলেন।
একটি বুলেট প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে আঘাত হানে। তবে তিনি ও তার গাড়ির চালক নিরাপদে বের হয়ে যেতে পেরেছেন।
আল জাজিরা যেই ফুটেজটি হাতে পেয়েছে সেখানে গাড়ির উইণ্ডস্ক্রিনে গুলির কারণে হওয়া ছিদ্র দেখা গেছে।
সূত্র বলছে, হালকা ধরণের অস্ত্র দিয়ে এই হামলা হয়েছে। সম্ভবত তা কালাশিনোকভ।
ইতিমধ্যে লিবিয়ার প্রধান সরকারী কৌশুলী তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন।
রয়টার্সও এই ঘটনায় প্রতিবেদন করেছে। তাদের সূত্র থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী একে হত্যা চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
২০১১ সালে ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশটির সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যূত করলে দেশটিতে অস্থিরতা তৈরি হয়। বর্তমানে দেশটিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।
পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী থেকে নেতা বনে যাওয়া দিবেইবাহ ২৪ এ ডিসেম্বর থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার শর্তে তাকে সরকার প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। পরে তিনি নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করেন।
নতুন করে দেশটিতে রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দের সৃষ্টি হওয়ায় তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘আমি কোন নতুন ক্রান্তিকালীন পর্যায় বা সমান্তরাল সরকার মেনে নেবো না।‘
এছাড়াও তিনি জানান, তার সরকার একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে ইচ্ছুক।
যদিও জাতিসংঘ, পশ্চিমা শক্তি এবং এমনকি পার্লামেন্টের কিছু সদস্যও দিবেইবাহকে নির্বাচন পর্যন্ত তার ভূমিকায় থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
দেশটিতে নির্বাচনের নতুন তারিখ এখনও ঘোষনা হয়নি।