বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হিজাব নিয়ে পাঁচ আবেদন শুনবে কর্ণাটক হাইকোর্ট

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৯:৩৬

সামনের বছর কর্ণাটকে রাজ্য সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল ঘোলা করার জন্য বিষয়টিকে ইস্যু বানিয়ে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে কোনো কোনো গোষ্ঠী- এমনটাই মনে করেন নাগেস। তিনি বলেন, ‘এটি মূলত রাজনীতি, সামনের বছর রাজ্য সংসদ নির্বাচন। কিছু দুর্বৃত্তগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের উসকানি দিচ্ছে।’

কর্ণাটকে কলেজগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে। হিজাববিরোধী গেরুয়া স্কার্ফধারীরাও রাস্তায় বেরিয়েছে। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় রাজ্য সরকার দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। যদিও আন্দোলন এরই মধ্যে দেশব্যাপী ছড়িয়ে গেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অধিকার নিয়ে গত মাসেই পাঁচ শিক্ষার্থী হাইকোর্টে একটি রিট করে। একদফা শুনানি হলেও ফলাফল আসেনি। হাইকোর্ট এটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছে। আপাতত কোর্ট থেকে হিজাব বিতর্কের মীমাংসা হচ্ছে না।

তবে, বৃহস্পতিবার কর্ণাটক আদালতের একটি বিশেষ বেঞ্চ হিজাব নিয়ে ১৮ জন ছাত্রের করা পাঁচটি আবেদন শুনবে।

এদিকে কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী নাগেশ বিসি চলমান আন্দোলন ও অসন্তোষের মধ্যেও নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছেন না। তার মতে, গেরুয়া স্কার্ফ ও হিজাব উভয়ই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ করা উচিত।

সামনের বছর কর্ণাটকে রাজ্য সংসদ নির্বাচন। তাই এই বিষয়টিকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল ঘোলা করার জন্য বিষয়টিকে ইস্যু বানিয়ে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে কোনো কোনো গোষ্ঠী- এমনটাই মনে করেন নাগেস।

তিনি বলেন, ‘এটি মূলত রাজনীতি, সামনের বছর রাজ্য সংসদ নির্বাচন। কিছু দুর্বৃত্তগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের উসকানি দিচ্ছে।’

এদিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় ও বিভিন্ন স্থানে গেরুয়া স্কার্ফধারী ও হিজাবের সমর্থনে আন্দোলনকারীদের সংঘাত হয়েছে। এ সময় তারা একে অপরের দিকে পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকটি জায়গায় লাঠিপেটা ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসভারাজ বোমাই, শিক্ষার্থীসহ সবাইকে ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’ বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন।

এদিকে হিজাবের অধিকারে সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সোনিয়া গান্ধী। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘বিকিনি, ওড়না, জিনস বা হিজাব যা-ই হোক না কেন- এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার একজন নারীরই। ভারতের সংবিধানও এই অধিকার দিয়েছে। নারী হয়রানি বন্ধ করুন। আমরা মেয়েরা লড়াই করতে জানি।’

এ ছাড়া পাকিস্তানি নারী অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাইও হিজাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং ভারতীয় নেতাদের নারীদের কোণঠাসা করা বন্ধ করতে বলেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর