বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহাকাশে স্টার ওয়ার্সের দৃশ্য বাস্তবে দেখল বিশ্ব

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:৫২

গত ২২ জানুয়ারি এসজে-২১ নামের চীনা স্যাটেলাইটটি তার স্বাভাবিক কক্ষপথ পরিবর্তন করে অচল একটি উপগ্রহ কম্পাস-জি২-এর দিকে এগিয়ে যায়। কিছুদিন পর চীনা স্যাটেলাইটটি অচল স্যাটেলাইটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এটিকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দেয়।

মহাকাশে বিচরণ করছে হাজারও অচল স্যাটেলাইট। এ ছাড়া কয়েকটি দেশ স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করতে গিয়ে হাজার হাজার স্পেস জাঙ্ক সৃষ্টি করেছে, যা ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযানকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলছে। তাই বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন এই সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে।

এবার গত মাসেই মহাকাশ সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র স্টার ওয়ার্সের ঘটনাই যেন বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। আর এই ঘটনার সাক্ষী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি স্যাটেলাইট নজরদারি প্রতিষ্ঠান ইক্সোঅ্যানালেটিক। অপটিক টেলিস্কোপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ চালায় প্রতিষ্ঠানটি।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারির শেষ দিকে একটি চীনা স্যাটেলাইটকে অচল স্যাটেলাইট দখল করে ৩০০ কিলোমিটার দূরে ‘মহাকাশের কবরস্থান’ হিসেবে পরিচিত এক স্থানে সরিয়ে দিতে দেখা গেছে। ফলে ওই অচল স্যাটেলাইটটি মহাকাশযানের জন্য আর হুমকির কারণ হবে না।

সেন্টার অফ স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ও সিকিউর ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বিষয়টি উপস্থাপন করেন ইক্সোঅ্যানালেটিকের প্রধান আর্কিটেক্ট ড. বেরিং ফ্লেউইলিং।

গত ২২ জানুয়ারি এসজে-২১ নামের চীনা স্যাটেলাইটটি তার স্বাভাবিক কক্ষপথ পরিবর্তন করে অচল একটি উপগ্রহ কম্পাস-জি২-এর দিকে এগিয়ে যায়। কিছুদিন পর চীনা স্যাটেলাইটটি অচল স্যাটেলাইটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এটিকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দেয়।

যদিও চীনা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই জানাননি।

আপাতদৃষ্টিতে এর উদ্দেশ্য ভালো মনে হলেও পশ্চিমারা এর মধ্যেও ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছে।

২০২১ সালে সিকিউর ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনের কাউন্টার স্পেস রিপোর্টে দাবি করা হয়, চীন ও রাশিয়া উভয় দেশই মহাকাশব্যবস্থা ধ্বংস করার মতো ‘কাউন্টারস্পেস সক্ষমতা’ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

চীন দাবি করে আসছে, তাদের মহাকাশ প্রযুক্তির বিকাশ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই। তারা কোনো ধ্বংসাত্মক বাকাউন্টার স্পেস অপারেশনের উদ্দেশ্যে মহাকাশ প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাচ্ছে না।

তবে স্পেস জাঙ্ক ছুড়ে ফেলার ব্যাপারে কোনো ভুল নেই। এতে মহাকাশ অভিযান আরও নিরাপদ হবে। অনেক দেশই ইতিমধ্যে স্পেস জাঙ্ক পরিষ্কার করার প্রযুক্তি চালু করেছে, যা দ্রুত বিকাশ লাভ করছে।

এ বিভাগের আরো খবর