পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আমাজন ডটকমের মালিক ও বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের জন্য নতুন একটি প্রমোদতরী বানানোর কাজ চলছে। এর দায়িত্বে রয়েছে নেদারল্যান্ডসের সমুদ্রযান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওসানকো।
ইতোমধ্যে ওয়াই৭২১ কোড নামের প্রমোদতরীটি নির্মাণের বেশির ভাগ কাজ শেষ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পানিতে ভাসবে ৪১৭ ফুট দীর্ঘ এই সমুদ্রযান। তবে কারখানা থেকে কীভাবে এটিকে সমুদ্রে নেয়া হবে, সেটি নিয়ে বেধেছে বিপত্তি।
সমুদ্রে পৌঁছার আগে নেদারল্যান্ডসের রটারডামে একটি সেতুর নিচ দিয়ে যেতে হবে প্রমোদতরীটিকে। আশঙ্কা রয়েছে, সেতুতে ধাক্কা দিতে পারে প্রমোদতরীর তিনটি বিশাল আকারের মাস্তুল।
পানিতে ভাসার অপেক্ষায় জেফ বেজোসের প্রমোদতরী। ছবি: সংগৃহীত
এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে বেজোসের প্রমোদতরীর জন্য ইস্পাতের সেতুটি সাময়িকভাবে সরিয়ে নেয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা।
এরই মধ্যে শহরের মেয়র জানিয়েছেন, প্রমোদতরীর জন্য সেতু সরিয়ে নেয়ার আবেদন পাননি তারা। তবে বেজোস সেতু সরানোর খরচ দিলে বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।ডে হেফ নামের সেতুটি রটারডামের একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। ১৭৭৮ সালে নির্মিত সেতুটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালে এটির বড় ধরনের সংস্কার করে শহর কর্তৃপক্ষ। তখন বলা হয়েছিল, আর কখনও এই সেতুকে সরিয়ে নেয়া হবে না।
সেতু সরিয়ে নেয়ার প্রসঙ্গে রটারডামের রাজনীতিবিদ স্টেফান লেউইস এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘এই লোকটা (জেফ বেজোস) লোকজনের চাকরি খেয়ে ও ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে টাকা কামিয়েছে। সে অনেক নিয়মও ভেঙেছে। এখন তার প্রমোদতরীর জন্য আমাদের সুন্দর জাতীয় স্থাপনাটি ভেঙে ফেলতে হবে?’
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াই৭২১ এ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে তৈরি হওয়া প্রমোদতরীর মধ্যে সবচেয়ে বড়। এটি নির্মাণে প্রায় ৪৮৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বে ধনকুবেরের সংখ্যা বাড়ায় ২০২১ সালে রেকর্ডসংখ্যক প্রমোদতরী বিক্রি হয়েছে। ওই বছর বিক্রি হওয়া প্রমোদতরীর সংখ্যা ৮৮৭টি, যা আগের বছরের তুলনায় ৭৭ শতাংশ বেশি।