এবার ইউক্রেন আক্রমণের অজুহাত খুঁজতে নাটক বানানোর পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। এমনটাই অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইউক্রেনে হামলার অজুহাত বের করতে রাশিয়ার সমর্থনে থাকা ইউক্রেনের রুশগোষ্ঠী বা রুশ সেনাবাহিনীর ওপরই ইউক্রেনের আক্রমণের মিথ্যা অভিযোগ আনতে চায় রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে রাশিয়া কোনো সাজানো হামলার ভিডিও দৃশ্যধারণ কিংবা আধুনিক গ্রাফিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখাবে যে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর হামলায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ইউক্রেনে হামলা চালাতে চাচ্ছে। রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ এমন কিছু ছবি গ্রাফিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করবে, যেখানে দেখা যাবে ইউক্রেনের হামলায় রুশ অধ্যুষিত পূর্ব ইউক্রেনের শহর ডনবাসে অনেক বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছে।
কর্মকর্তার দাবি, পরবর্তীতে এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করতে পারে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, ইউক্রেনকে অস্থিতিশীল করার জন্য রাশিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত আগ্রাসন এবং গোপন তৎপরতার স্পষ্ট ও হতাশাজনক প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা।
রাশিয়া এর জবাবে বলেছে, কোনো ধরনের ফলস ফ্লাগ (মিথ্যা অভিযোগে) হামলার পরিকল্পনা নেই তাদের।
যদিও ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। প্রতিবেশী বেলারুশের সঙ্গে চালাচ্ছে সামরিক মহড়া। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো যেকোনো সময়ে ইউক্রেনে হামলার আশঙ্কা করছে। যদিও রাশিয়া জানিয়েছে হামলার কোনো পরিকল্পনা দেশটির নেই।
রাশিয়া চাইছে তার নিরাপত্তার পূর্ণ নিশ্চয়তা, পূর্ব ইউরোপ থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনকে যাতে কখনোই ন্যাটো সদস্য করা না হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দাবি ইতিমধ্যে উড়িয়ে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। তবে ন্যাটো কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কেউই ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করেনি। ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে রাশিয়াকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেও পাল্টা সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে কিছু বলেনি যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরঞ্জাম পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
তবে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে ন্যাটো মিত্রদের রক্ষায় নতুন করে সেনা মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাঝেই পূর্ব ইউরোপে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে দেশটি।