আইনের বেড়াজাল কাটিয়ে দেড় মাস পর বাড়ি ফিরছে ব্রুনো। ব্রুনোকে তার অভিভাবকের কাছে ফেরত দিতে দেবশ্রী রায় অ্যানিমেল ফাউন্ডেশনকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকা থেকে ২৪ ডিসেম্বর ফ্রেঞ্চ ম্যাসটিফ প্রজাতির আড়াই বছর বয়সী একটি পোষা কুকুর নিখোঁজ হয়। কুকুর হারানোর বিষয়টি চার দিন পর যাদবপুর থানাকে জানান বিজয়গড়ের বাসিন্দা সুপর্ণা মীরবাহার।
ওদিকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর ব্রুনোকে হাওড়া পাঁচলা থানা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু পাঁচলা থানার পুলিশ কুকুরটির কোনো অভিভাবক খুঁজে না পেয়ে দেবশ্রী রায় অ্যানিমেল ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দেয়।
সুপর্ণা মীরবাহার পরে একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে জানতে পারেন, তার আদরের পোষ্যটি রয়েছে দেবশ্রী রায় অ্যানিমেল ফাউন্ডেশনে। কুকুরটি ফিরে পেতে তিনি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এটি ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে। এ পরিস্থিতিতে সুপর্ণা দেবী তার পোষা কুকুরটি ফিরে পেতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন।
দেবশ্রী রায় অ্যানিমেল ফাউন্ডেশনের অভিযোগ, কোনো যত্ন না নিয়ে কুকুরটিকে রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। কারণ মামলার বাদী কুকুরটি রাখতে চাইছিলেন না। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্রুনোর অভিভাবক সুপর্ণা।
পরে আদালত সুপর্ণাকে দেবশ্রী রায় ফাউন্ডেশনে যেতে বলেন। সেখানে সুপর্ণার সঙ্গে ব্রুনোর সাক্ষাতে সদর্থক আচরণ দেখা গেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আদালতের নির্দেশমতো দেবশ্রী ফাউন্ডেশনে ব্রুনো-সুপর্ণা সাক্ষাতের ছবি আদালতে বৃহস্পতিবারের শুনানিতে পেশ করা হয়। সেখানে ছবিতে দেখা যায়, সুপর্ণাকে দেখে ব্রুনো লেজ নাড়ছে। এরপর বিচারপতি রাজশেখর মান্থ প্রশ্ন তোলেন, সুপর্ণা দেবী কুকুরটিকে লালন-পালন করতে চাইছেন; সে ক্ষেত্রে অসুবিধা কোথায়?
সরকারি আইনজীবী পল্টু দেব রায় এ সময় বলেন, আদালত যা নির্দেশ দেবে প্রশাসন তা পালন করতে প্রস্তুত।
এরপর বিচারপতি রাজশেখর মান্থা দেবশ্রী রায় অ্যানিমেল ফাউন্ডেশনকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে অভিভাবকের কাছে কুকুরটি ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।