আন্তর্জাতিক জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শীর্ষ নেতা আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরায়েশিকে সিরিয়ার আতমেহ অঞ্চলে হত্যার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার সকালে এ দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর হামলার সময় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হোয়াইট হেলমেটস। তাদের দাবি, নিহতদের মধ্যে ছয় শিশু ও চার নারী রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালে এক অভিযানে আইএসের তৎকালীন শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদী নিহত হওয়ার পর সিরিয়ায় এটিই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অভিযান বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সংস্থা পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিবরি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বুধবার রাতে সিরিয়া-তুরস্কের সীমান্তের কাছে আতমেহ এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
তবে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পেন্টাগন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় জানিয়েছেন, বুধবার রাতে অন্তত তিনটি হেলিকপ্টার থেকে বন্দুক হামলা চালানো হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তারা। হামলার সময় জায়গাটিতে স্থানীয় জঙ্গী সংগঠন হায়াত তাহরির আল শামসের যোদ্ধাদের উপস্থিতি ছিল।
তিন বছর আগে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের কথিত খিলাফতের সমাপ্তি ঘটে। তবে সম্প্রতি দেশ দুটির বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে জঙ্গীগোষ্ঠীটি। নিজের সদস্যদের মুক্ত করতে এ বছরের জানুয়ারিতে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি কারাগারে হামলা চালায় আইএস যোদ্ধারা। এসময় সংঘর্ষে প্রায় ২০০ বন্দি ও ৩০ নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হলেও কারাগার ভেঙে নিজের সদস্যদের মুক্ত করতে পারেনি আইএস।