বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ন্যাটোভুক্ত মিত্রদের রক্ষার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৮:৫৪

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জন কিরবি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে আরও সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটবে। পেন্টাগন গত সপ্তাহে যে ৮ হাজার ৫০০ সেনাকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রেখেছিল, নতুন পাঠানো সেনাগুলো এর বাইরের।’

রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছে। দেশটি জানিয়েছে, ন্যাটোভুক্ত দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে আরও ২ হাজার সেনা মোতায়েন করছে। এ ছাড়া ন্যাটো দেশগুলোর ‘শক্তিশালী প্রতিরক্ষা’ গড়ে তুলতে জার্মানি থেকে ১ হাজার সেনা সরিয়ে পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় মোতায়েন করা হয়েছে।

পেন্টাগন জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান অচলাবস্থাকে কেন্দ্র করে নতুন করে এই সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটেছে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জন কিরবি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে আরও সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটবে। পেন্টাগন গত সপ্তাহে যে ৮ হাজার ৫০০ সেনাকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রেখেছিল, নতুন পাঠানো সেনাগুলো এর বাইরের।’

কিরবি একই সঙ্গে নিশ্চিত করেছেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সেনা মোতায়েন করবে না।

তিনি বলেন, ‘এই সেনা পাঠানোর ঘটনা একটি সতর্ক বার্তা যে আমরা আমাদের ন্যাটো মিত্রের ওপর যেকোনো আগ্রাসন প্রতিহত করতে প্রস্তুত।’

এদিকে রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি করে চলেছে। একের পর এক বিমান ও নৌমহড়া চালাচ্ছে। এছাড়া বেলারুশের সঙ্গে চলছে দেশটির সামরিক মহড়া।

তবে রাশিয়া উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হাঙ্গেরীয় প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি পরিষ্কার যে রাশিয়ার উদ্বেগের জায়গাগুলোকে উপেক্ষা করা হয়েছে।’

এ ছাড়া তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো উদ্বেগ নেই। তাদের লক্ষ্য রাশিয়ার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা। ইউক্রেনকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। আমি আশা করি, অবশ্যই আমরা একটি সমাধান খুঁজে পাব, যদিও তা এত সহজ হবে না।’

ক্রেমলিনের ধারণা, যদি ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পায়, তাহলে ক্রিমিয়া ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে দেশটি।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন।

এ বিভাগের আরো খবর