বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের হাতে গড়া দলের নেতৃত্বে পুনর্নির্বাচিত হয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল হিন্দুত্ববাদী বিজেপিকে তাড়াতে সংঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন। দেশের আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে জোট করে বিজেপিকে পরাস্ত করার আহ্বানও জানান।
বুধবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুপুর ১২টায় তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৭ সালের পর তৃণমূলের এই সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাক্ষী থাকার জন্য বিজেপি বাদে অন্য বিরোধী দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
ভারতের ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে গদিচ্যুত করার ঘোষণা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের পক্ষে মোদিবিরোধী মুখ হিসেবে প্রচারও করা হয়েছে। এবার সেই লক্ষ্যে তৃণমূলের সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের নেতাদের উদ্দেশে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আপনারা দলটাকে মজবুত করে গড়ে তুলুন। আর আমাকে বলুন, ‘দিদি আপনি দেশ থেকে বিজেপি হটান।’
‘১৯৯৮ সাল থেকে অনেক ঝড় অতিক্রম করে আজকের তৃণমূল এই জায়গায় এসেছে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ছিল প্রথমে। পরে বিভিন্ন রাজ্যে ইউনিট খোলায় অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস নাম হয়। পশ্চিমবঙ্গের ছেলেমেয়েদের হাতে এখন অনেক কাজ আছে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। দেশ ও তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে জানতে হবে।’
বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরা গেলে মারা হচ্ছে। অত্যাচার হচ্ছে। সাংবাদিক পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। বাংলায় এটা নেই। তৃণমূলের আর এক নাম আন্দোলন-সংগ্রাম। তৃণমূল মুখের কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী।’
বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার অভিযোগ, ‘কিছু বলতে গেলেই দুর্বিষহ, নাভিশ্বাস, পেগাসাস। অভিষেক, পিকে সবার ফোন ট্যাপ করে রেখেছিল। প্রমাণ হয়ে গেছে। আমরা চাই এটার বিচার হোক।’
বিজেপি আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দেশের আঞ্চলিক দলগুলোকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমরা লড়তে তৈরি। আমরা বিজেপিকে হটাতে তৈরি। সব আঞ্চলিক দল আসুন, একসঙ্গে কাজ করি, বিজেপিকে পরাস্ত করি।’