পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউয়ের রাজধানী বিসাউয়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছেই ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট উমরাও মোকতার সিসোকো এমবালো এ ঘটনাকে ইতিমধ্যে ‘গণতন্ত্রের ওপর ব্যর্থ আক্রমণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মঙ্গলবার অভ্যুত্থান চেষ্টা করা অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা প্রেসিডেন্ট বাসভবন ঘিরে ধরে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোকতার এমবালো ও প্রধানমন্ত্রী নুনো গোমেজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছিলেন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, গোলাগুলিতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের ক্ষতি হয়েছে। বাসভবনটি দেশটির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই অবস্থিত। এ সময় অস্ত্রধারীরা সরকারি কর্মকর্তাদের জিম্মিও করেন।
প্রেসিডেন্ট এমবালো ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যর্থ আক্রমণে’ নিহত হয়েছেন। গোলাগুলি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই প্রেসিডেন্টের ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও বার্তায় এমবালো বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন, তবে ঠিক কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তা তার জানা নেই।
প্রেসিডেন্ট এমবালো দাবি করেছেন, মাদক পাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার কারণেই তার বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়েছে।
যদিও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে গোলাগুলি থেমেছে কি না। পর্তুগালের পররাষ্ট্র বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, সংঘাতের সময় এমবালো সরকারি বাসভবনেই ছিলেন। তবে আক্রমণ এখনও থেমেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। তিনি দেশটির সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্মান জানিয়ে সংঘাত থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
৪৯ বছর বয়সী একসময়ের রিজার্ভ ফোর্সের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী এমবালো পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।