জীববিজ্ঞানের চর্চা চলে আসছে সেই প্রাচীন গ্রীকদের সময় থেকেই। দার্শনিকের পাশাপাশি অ্যারিস্টটল ছিলেন একজন জীববিজ্ঞানীও। তবে গ্রীকদের সময় জীববিজ্ঞানের শাখায় যার নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত থিওফ্রাসটাস। নতুন উদ্ভিদ বা প্রাণীর সন্ধানের প্রবণতা ও তা লিপিবদ্ধ করাও বেশ অনেক দিন ধরে চলছে। পতঙ্গও এর বাইরে হয়।
তবে নতুন কোনো পতঙ্গ খুঁজে বের করা এখন বেশ কঠিন। অ্যাঞ্জেলা রাসকিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. আলভিন হেলডেন বলেন, নতুন কোনো পতঙ্গের সন্ধান পাওয়া এমন এক অর্জন, যা বিজ্ঞানীদের জীবদ্দশায় একবারই ঘটে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. অ্যাঞ্জেলা হেলডেন সম্প্রতি নতুন এক পতঙ্গের সন্ধ্যান পেয়েছেন।
রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ন্যাশনাল পার্কে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের গুবরে পোকাসহ নতুন নতুন পোকামাকড়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া।
ছাত্রদের সঙ্গে কাজ করতে করতেই সেখানে নতুন প্রজাতির ঘাসফড়িংয়ের সন্ধান পান হেলডেন।
তিনি ধাতুর মতো চকচকে ঘাসফড়িংটির নাম রাখেন Phlogis Kibalensis.
হেলডেন জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত এই ঘাসফড়িংয়ের খাদ্যাভাস ও বাস্তসংস্থানে এর ভূমিকা জানা সম্ভব হয়নি।
সত্যিকার অর্থে Phlogis গণের পোকামাকড়ের ক্ষেত্রে নতুন প্রজাতি খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কারণ প্রকৃতিতে এরা খুবই বিরল।
এর আগে প্রকৃতিতে Phlogis গণের সর্বশেষ নতুন নমুনা খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল ৫০ বছরেরও বেশি আগে।
১৯৬৯ সালে খুঁজে পাওয়া ঘাসফড়িংটির নাম Phlogis genus.
নতুন ঘাসফড়িং খুঁজে পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হেলডেন বলেন, এমন অভিজ্ঞতা একজন বিজ্ঞানীর জীবদ্দশায় সেরা অর্জন।