কানাডায় ট্রাকচালকদের বিক্ষোভের মুখে গোপন স্থানে সপরিবারে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ফার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ভ্যাকসিনের বিরোধিতা করে ট্রাকচালকরা আন্দোলন করায় অটোয়ার বাসস্থান ছেড়েছেন ট্রুডো। পরবর্তীতে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে গোপন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান।
যদিও সিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ট্রাকচালকদের এই আন্দোলন ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।
অটোয়া পুলিশ জানিয়েছে, কোনো আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি।
প্রায় সপ্তাহখানেক ট্রাক চালানোর পর শুক্রবার দেশটির রাজধানী অটোয়ায় ঢুকতে শুরু করে ট্রাকগুলো।
জানুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া কানাডার কোভিড-১৯ ম্যান্ডেটে বলা হয়েছে, ট্রাক ড্রাইভারদের সীমান্ত অতিক্রম করতে হলে ভ্যাকসিন সনদ থাকতে হবে। যে ট্রাকচালকদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়নি, তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসার সময় করোনাভাইরাসের টেস্ট করাতে হবে এবং বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
একই নিয়ম যুক্তরাষ্ট্রও ২২ জানুয়ারি থেকে জারি করে।
দেশটির ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যান্ডেট’-এর বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে ট্রাকচালকরা ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামের মুভমেন্ট শুরু করে।
এর আগে সোমবার এক প্রেস কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, কানাডার অধিকাংশ ট্রাকচালক ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় এসেছে।