পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। সেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে দেশটি। মহাকাশ থেকে নেয়া ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে কোরিয়ান উপদ্বীপের কিছু অংশ এবং তার আশপাশের এলাকা।
পিয়ংইয়ং সোমবার নিশ্চিত করেছে, তারা হোয়াসং-১২ নামের মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি পূর্ণ শক্তিতে হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে হামলা চালাতে পারবে। এটির যে মাত্রা তাতে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ামের মতো এলাকায় হামলা চালাতে সক্ষম।
উত্তর কোরিয়ার সব শেষ এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
চলতি মাসে উত্তর কোরিয়ার এটি সপ্তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। এক মাসে এত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্য রাষ্ট্রগুলো।
উত্তর কোরিয়ার ওপর ব্যালাস্টিক ও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে দেশটির ওপর আরোপ করা হয়েছে অবরোধ।
অবশ্য এসব নিন্দা বা উদ্বেগের তোয়াক্কা করেননি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা উন একটি ‘অজেয় সেনাবাহিনী’ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
২০১৯ সালে তিনি বলেছিলেন, তারা ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার বিষয়ে কারও কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দেখে তাদের মনে হয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসার সময় এসেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান দুটি দেশেরই অ্যান্টি-মিশাইল সিস্টেমে রোববার উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি ধরা পড়েছে।
তারা শনাক্ত করতে পেরেছে ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝারি পাল্লার বা প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। এটি মাঝারি পাল্লায় উড়ে দুই হাজার কিলোমিটার গিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
অবশ্য পূর্ণ শক্তি নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি চার হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে হামলা চালাতে পারবে।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার এক দিন পর উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে মহাকাশ থেকে নেয়া কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটির যথার্থতা যাচাই করতেই এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি কাছে ছোড়া হয়েছে বলে জানায় কেসিএনএ।