প্রায় তিন বছর পর ফের সিরিয়ায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যরা। কারাগারে আইএসের হামলাকে কেন্দ্র করে জঙ্গিদের সঙ্গে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাসাকেহ শহরে।
কুর্দি বাহিনী-আইএসের চলমান সহিংসতায় নিহত হয়েছে অন্তত ১২০ জন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ ও সংঘাত পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৭৭ আইএস সদস্য ও ৩৯ কুর্দি যোদ্ধা রয়েছে। সাত বেসামরিক নাগরিক ছাড়াও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, কারারক্ষীরাও রয়েছেন নিহত ব্যক্তিদের তালিকায়। দেশটির হাসাকেহ শহরে কুর্দি পরিচালিত ঘোয়রান কারাগারের ভেতর ও বাইরে চলা সহিংসতায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
পর্যবেক্ষণকারী এই সংগঠন জানিয়েছে, আইএসের সশস্ত্র জঙ্গিরা ঘোয়রান কারাগারে তাদের বন্দি সদস্যদের মুক্ত করার পাশাপাশি কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রথমে কারা ফটকে গাড়িবোমা হামলা চালায়। এ সময় অনেক আইএস বন্দি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে জঙ্গিরা কারাগারের অস্ত্রাগারও দখলের চেষ্টা করে।
কারাগারে শতাধিক আইএস সদস্যের বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বাহিনী (এসডিএফ) জানায়, পালিয়ে যাওয়ার সময় অন্তত ১০৪ বন্দিকে আটক করা হয়েছে।
কুর্দি ও আইএসের মধ্যে সংঘর্ষ থেমে থেমে চলছে।
কারাগারের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও আশপাশের এলাকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হটানোর চেষ্টা করছে কুর্দি বাহিনী।
আইএসের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত সংবাদমাধ্যম আমাক জানিয়েছে, আইএস সদস্যরা ঘোয়রান কারাগারের একটি অস্ত্রাগার দখলের পর দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলার মধ্য দিয়ে ওই অভিযান শুরু করে। এই সফল অভিযানে তারা তাদের কয়েক শ সদস্যকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে পেরেছে।