করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে নিজের বিয়ে বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
স্থানীয় সময় রোববার সাংবাদিকদের আরডার্ন এ কথা জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশজুড়ে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এমন অবস্থায় নিজের বিয়ে নিয়ে কথা বলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
জেসিন্ডা বলেন, ‘আমার বিয়েও হবে না। এ ধরনের অভিজ্ঞতা যাদের হয়েছে, আমিও তাদের দলে যোগ দিলাম। আমি খুবই দুঃখিত।’
দীর্ঘদিনের সঙ্গী টেলিভিশন উপস্থাপক ক্লার্ক গেফোর্ডের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন জেসিন্ডা আরডার্ন। তবে বিয়ের তারিখ বা এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু এখনও জানা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছিল, শিগগিরই আনুষ্ঠানিকতা সারবেন তারা। তবে এর মধ্যেই নতুন বিধিনিষেধে পিছিয়ে গেল জেসিন্ডা-গেফোর্ডের বিয়ে।
সঙ্গীর সঙ্গে বিয়ে বাতিলের ঘোষণায় কেমন অনুভব করছেন, জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা বলেন, ‘জীবন এমনই।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে সাহস করে বলতে হচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের হাজার হাজার বাসিন্দা যাদের জীবনে মহামারি মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে তাদের থেকে আমি আলাদা নই। এই প্রভাবের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হলো, কেউ যখন গুরুতর অসুস্থ হন, তখন প্রিয়জনের সাথে থাকতে পারেন না।’
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা বলেন, ‘এর বেদনা আমার অন্য যেকোনো দুঃখজনক ঘটনাকে ছাড়িয়ে যাবে।’
ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের পর পুরো নিউজিল্যান্ডে সর্বোচ্চ স্তরের বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে সম্প্রতি। এর মধ্যে রয়েছে যেকোনো অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি মানুষের উপস্থিতি না থাকা এবং দোকান ও গণপরিবহনে মাস্ক পরা।
২০২০ সালের মার্চ থেকে নিউজিল্যান্ড অন্য দেশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। মহামারি শুরুর পর এ পর্যন্ত দেশটিতে ১৫ হাজার ১০৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের।