আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর রেখে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ এখন কাশ্মীর উপত্যকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে।
একটি সশস্ত্র সংগঠনের প্রকাশিত সাম্প্রতিক ভিডিওতে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রাইফেল এবং পিস্তল সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (পিএএফএফ) নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রকাশিত ভিডিওতে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে এম ২৪৯ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, ৫০৯ ট্যাকটিক্যাল বন্দুক, এম ১৯১১ পিস্তল এবং এম৪ কারবাইন রাইফেল ব্যবহার করতে দেখা যায়।
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনী কয়েকটি অভিযানে ৬ জন অস্ত্রধারীকে হত্যা করেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা বিদেশি নাগরিক। তাদের সবার কাছেই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম৪১৬ কার্বাইন পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, এম৪১৬ কার্বাইন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর স্ট্যান্ডার্ড অ্যাসল্ট রাইফেল।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটা অংশ আফগানিস্তানে তালেবানরা প্রকাশ্যে বিক্রি করছে।
পাকিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তালেবানদের কাছ থেকে এই অস্ত্র ও গোলাবারুদ কিনে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় পাঠাচ্ছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ কাশ্মীরের সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে পড়বে। নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, কাশ্মীর উপত্যকায় প্রায় ৮৫ জন বিদেশি রয়েছেন। এই বিদেশি অস্ত্রধারীরা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসল্ট রাইফেল বহন করছেন।
ড্রোনের সাহায্যে সীমান্তের ওপার থেকে এই রাইফেল, পিস্তল, গ্রেনেড ইত্যাদি পাঠানো হচ্ছে বলেও মনে করেন নিরাপত্তা বাহিনী। তবে কয়েকবার সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী এভাবে অস্ত্র পাচারের অনেক ঘটনা নস্যাৎও করেছে।
কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য সশস্ত্র সংগঠনগুলোর হাতে আসা এসব অত্যাধুনিক অস্ত্র একটি নতুন এবং বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ভারতীয় সরকারও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে দেশের প্রথম পুলিশ বাহিনী হিসেবে তাদের মার্কিন তৈরি সিগ সাউয়ার ৭১৬ রাইফেলস এবং সিগ সাউয়ার এমপিএক্স ৯ এমএম পিস্তল দেবে।